বানর পরীর বিয়ে
এক বনে ছিল এক বানর পরিবার , পরিবারের সবাই
ছিলো অনেক শক্তিশালী , শিকারে , গাছ বেয়ে বেড়াতে তারা খুব ভালোবাসত। যে যত বেশি
গাছ বাইতে পারতো, তার তত বেশি বন্ধু থাকতো
, সবাই তাকে মানতো। তাদের মধ্যে একটা ছিলো
কুঁজো সে গাছ বাইতে পারতো না । সব বানরেরা কুঁজো বানরটির উপর অত্যাচার করতো। একদিন
বানর পরিবারে খবর আসলো পাশের
গ্রামে এক রাজ কুমারীর বিয়ে তাই সবাই দলে দলে সেই বিয়েতে যাবে । সবাই যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে লাগল , কুঁজো বানর এসে
বলল বন্ধুরা আমিও তোমাদের সাথে যাবো । কুঁজোর কথা শুনে এক বানর বলল , ইস! হাটতে
পারোনা লাফাবে কি করে। তুমি কুঁজো তাই
এখানেই পড়ে থাকো। আমাদের বাড়ী ঘর পাহারা দাও , যদি মনে থাকে তোমার জন্য মুখে করে
কিছু নিয়ে আসবো । কুঁজো বানর রাগ হয়ে গেলো। তোদের মুখের খাবার আমি খাবো! কেমনে
ভাবলি , যা তোরা দেখবি আমি তোদের চেয়েও ভালো খাবার খাবো।
এই বলে কুঁজো বানরটি মনের কষ্টে সবার পাশ থেকে
সরে গেলো , এক পা দু পা করে লাফাতে লাফাতে
বানরটি এসে বসলো একটা দীঘির পাড়ে। বানর বসে বসে মাছের খেলা , মাছ রাঙার মাছ ধরা
দেখে দেখে কুঁজো বানর মনের সুখে হাসতে লাগল ঐ দিকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলো কিন্তু
বানরের খেয়াল নেই যে সে সকালে ও দুপুরের
খাবার খায়নি , এই দিকে ক্ষুধায় কুঁজো বানরটার পেট ছোঁ ছোঁ করছে তবে খাবার কোথায় পাবে ? যা খুজে পাওয়া যায় তা
আবার গাছের মগ ডগায় যা তার ধরা সম্ভব নয়। খুব কষ্ট পেলো বানরটি আবার অন্য দিকে
বন্ধুদের বলে এসেছে তাদের চেয়ে ভালো খাবার খাবে কিন্তু তা কি ভাবে ? যে হাটতেই
পারেনা সে আবার লাফাবে কি ভাবে ! কুঁজো
বানরটার নিজে প্রতি নিজের ভীষণ রাগ হলো তা সে মনের কষ্টে ছুটে চলল আত্নহত্যা করতে ।
আমরা “ক” জন
ঈদের ছুটি বুজতে পারছেন ,অনেক লম্বা ভ্রমন। বাড়িতে আসা যে কি মজা যখন ঢাকা ছিলাম তখনি যেন সপ্ন শুরু হয়েছিল , কেননা বাবা-মা বন্ধু-বান্ধব তাদের সাথে ঈদের আমেজ কেন জানি সামনে এসে দোলা দেয়। আসার সাতদিন আগে যেন ঢাকার সবকিছু আবজা-আবজা মনে হয়েছিল যাক দিন যাচ্ছিল আর আমার আবজা লাগাটা কমতে শুরু করলো। এভাবে আমার দিন কমতে কমতে শেষ হয়ে গেল। আমি কিছু বুজতে পারলাম না। বাড়ি আসার আগের দিন , মানে রাতটার কথা বলতেছি সারাটা রাত আমার কেমন যে লেগেছিল আমি বলে বুজাতে পারবো না। কেন যেন সবাইকে তখনি দেখতে মন ছটপট করছিল । যাক রাতটা পার করে দিলাম এখন যাবার পালা , সবার যন্য দরকার কিছু কেনা কাটা কিন্তু কোথা হতে কিনবো তা নিয়ে চিন্তা আরো বেরে গেল। রুমে বসে তার সিদ্ধান্ত নিলাম চলে গেলাম গাউছিয়া , মনে হয়ে ছিল অনেক দূর কিন্তু না কাছেই লাগল ঘন্টা খানেক, আসলে সেখানে যাওয়া টা আবার এক ভাইয়ের মাধ্যমে আমিতো আর এত কিছু ছিনিনা , যাক ওখান থেকে শাড়ী আর থ্রি-পিছ টা কেনা হলো , তার পর চলে আসা , অনেক তরিগরি করে রুম থেকে বের হলাম যাবার জন্যে, গুলশান এসে গাড়ী উঠলাম যাবো তাড়াতাড়ি কিন্তু না গাড়ী চলেনা ঢাকার জ্যাম তাতোবুঝতে পারছেন ,আমার শেষ অবস্তা যাক আর কি করার আগের এক রুম মেম্বারের সাথে দেখা ও বাঁচলাম ওরসাথে কথা বলতে বলতে গেলাম সদর গাট , ও আল্লাহ! ওখানে আরেক অবস্তা , অনেক কষ্টের মাঝে ঢুকলাম , এবার লঞ্চ সেখানের অবস্তা আমাকে বিস্মিত করে দিল , মালের নিরাপত্তা নিয়ে সবাই চিন্তিত চারদিকে ছিন্তাই কারী আর ছিন্তাই কারী কে কার খবর রাখে সবাই যেন বলছে নিজে বাছি নিজে বাছি , আমার চিন্তা শুধু আমার ল্যপ্টপ নিয়ে , অনেক কষ্টের মাঝে লঞ্চে উঠলাম , সেখানে গিয়েও বেজাল কেবিন পেলাম না , অনেক কষ্টের মাঝে স্টাব কেবিন পেলাম তারপর আরকি , সবকিছু রেখে খোঁজা সরু করলাম আমাদের ওখানের কাঊকে পাইকিনা , পেচন থেকে মেয়ে কন্ঠে ভেসে আসলো আমার নাম আমি অবাক হয়ে গেলাম আবার কে ডাকে আমাকে তা আবার মেয়ে সাথে আছে তিনটা বাচ্ছা মেয়েটা একা কাছে আসতেই চিন্তে পারলাম ও আমার সেই স্কুল জীবনের সে সাথী মনে পড়ে গেলো ওকে নিয়ে কত মজা করতাম । আসলে এখন তা স্মৃতি চাইলেও পারা যাবেনা , যাক সে কথা পড়ে বলা যাবে বুঝতেতো পারছেন কি বলতে চাচ্ছিলাম । কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম তুই! কেমন আছিস আর এখানে কেনো , কোথায় গিয়েছিলি ?
আমার কথা শুনে ও কেমন যেন অবাক হয়ে গেলো কিছুক্ষন চুপ করে থেকে আমাকে বলে আমার স্বামীর সাথে ঢাকাতে এসেছিলাম , তো কোথায় তোর স্বামী ? ও দুখের পানি ছেরে বলল জানিনা কোথায় আছে । আচ্ছা তোর সাথে অনেক কথা হবে আস একজায়গায় এসে সব তার পর কথা বলবো । আমি বুঝতে পারলাম সবকিছু তবে শুনতে হবে ওর কাহিনী মেয়েটার বয়স বেশি নয় ১৭ বছর হবে ............
আমার ছোটবেলা(my childhood)
মোঃ খোরশেদ আলম
বানর পরীর বিয়ে
এক বনে ছিল এক বানর পরিবার , পরিবারের সবাই
ছিলো অনেক শক্তিশালী , শিকারে , গাছ বেয়ে বেড়াতে তারা খুব ভালোবাসত। যে যত বেশি
গাছ বাইতে পারতো, তার তত বেশি বন্ধু থাকতো
, সবাই তাকে মানতো। তাদের মধ্যে একটা ছিলো
কুঁজো সে গাছ বাইতে পারতো না । সব বানরেরা কুঁজো বানরটির উপর অত্যাচার করতো। একদিন
বানর পরিবারে খবর আসলো পাশের
গ্রামে এক রাজ কুমারীর বিয়ে তাই সবাই দলে দলে সেই বিয়েতে যাবে । সবাই যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে লাগল , কুঁজো বানর এসে
বলল বন্ধুরা আমিও তোমাদের সাথে যাবো । কুঁজোর কথা শুনে এক বানর বলল , ইস! হাটতে
পারোনা লাফাবে কি করে। তুমি কুঁজো তাই
এখানেই পড়ে থাকো। আমাদের বাড়ী ঘর পাহারা দাও , যদি মনে থাকে তোমার জন্য মুখে করে
কিছু নিয়ে আসবো । কুঁজো বানর রাগ হয়ে গেলো। তোদের মুখের খাবার আমি খাবো! কেমনে
ভাবলি , যা তোরা দেখবি আমি তোদের চেয়েও ভালো খাবার খাবো।
এই বলে কুঁজো বানরটি মনের কষ্টে সবার পাশ থেকে
সরে গেলো , এক পা দু পা করে লাফাতে লাফাতে
বানরটি এসে বসলো একটা দীঘির পাড়ে। বানর বসে বসে মাছের খেলা , মাছ রাঙার মাছ ধরা
দেখে দেখে কুঁজো বানর মনের সুখে হাসতে লাগল ঐ দিকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলো কিন্তু
বানরের খেয়াল নেই যে সে সকালে ও দুপুরের
খাবার খায়নি , এই দিকে ক্ষুধায় কুঁজো বানরটার পেট ছোঁ ছোঁ করছে তবে খাবার কোথায় পাবে ? যা খুজে পাওয়া যায় তা
আবার গাছের মগ ডগায় যা তার ধরা সম্ভব নয়। খুব কষ্ট পেলো বানরটি আবার অন্য দিকে
বন্ধুদের বলে এসেছে তাদের চেয়ে ভালো খাবার খাবে কিন্তু তা কি ভাবে ? যে হাটতেই
পারেনা সে আবার লাফাবে কি ভাবে ! কুঁজো
বানরটার নিজে প্রতি নিজের ভীষণ রাগ হলো তা সে মনের কষ্টে ছুটে চলল আত্নহত্যা করতে ।
আমরা “ক” জন
আমার কথা শুনে ও কেমন যেন অবাক হয়ে গেলো কিছুক্ষন চুপ করে থেকে আমাকে বলে আমার স্বামীর সাথে ঢাকাতে এসেছিলাম , তো কোথায় তোর স্বামী ? ও দুখের পানি ছেরে বলল জানিনা কোথায় আছে । আচ্ছা তোর সাথে অনেক কথা হবে আস একজায়গায় এসে সব তার পর কথা বলবো । আমি বুঝতে পারলাম সবকিছু তবে শুনতে হবে ওর কাহিনী মেয়েটার বয়স বেশি নয় ১৭ বছর হবে ............
আমার ছোটবেলা(my childhood)
আমরা তিন ভাই-বোন মানে আমি আর আমার দুই বোন অবশ্যই ছোট বোন সে সময় ছিলনা, বাবা ব্যবসায় করতেন তিনি বিভিন্ন হাটে যেতেন আসার সময় মাছ নিয়ে আসতেন আমার আবার ইলিশ মাছ টা অনেক পছন্দের । আমার ছোট বোন সে যেটা পছন্দ করত আমিও সেটা পছন্দ করতাম তার জন্য আমাদের দুজনের মাঝে জগড়া লেগে থাকতো ।
আমি সবসময় ভাবতাম কি করা যায়, আমার একতা বন্ধু ছিল তার নাম নাজিম জানিনা ও এখন কেমন আছে তবে আমার সবচাইতে কাছের বন্ধু । সে সময়ে আমারা চট্টগ্রাম থাকতাম আমি সেখান থেকে এসেছি ১৬ বছর হল মানে আমার ছোট্ট বেলার কথা , একদিন আমি আর ও এক সাথে খেলতেছিলাম একসময় নাজিম আমাকে বলে আব্বু না আজকে অনেক বড় মাছ আনছে , আমি ও বললাম আমার আব্বা ও আনে , ও আমাকে বলল আমি কি পছন্দ করি, আমি বললাম আমার না মাছের লেজ খেতে ভাল লাগে।
আমি ও , আমি খাই আমার ছোট বনে খাই তবে আমাদের বাসার অবস্তা আমাদের দু ভাই -বোনের যুদ্ধ , আমি বলি আমি খাবো ও বলে ও খাবে তবে আমার সাথে কি আর পারা হয় , আমি চুরি করে খেতাম ।
কিন্তু বাবার হাতের মার খেতে হতই , দেখতাম সবাই আমার ছোট বোনকে আদর করত তার জন্য একদিন আমি আমার ছোট বনের গায়ে বাতির আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলাম। আমার কোন দোষ ছিলনা , আমি বসে পড়তে ছিলাম ও এসে আমাকে বলে , ভাইয়া বাবা মাছ আনবে তোমাকে দিবোনা , আসলে সত্যি ছোট বেলা আমি ওকে অনেক মারতাম আজ আমার বোনটা কত দূরে আছে. তবে আমাকে ও অনেক ভয় পেতো , এখনো আমাকে প্রচুর ভয় পায় মাঝে মাঝে আমি ওকে এখান থেকে রাগ করি আমার সাথে কোন কথাই বলেনা । আমি আসলেই চিন্তা করি আমার বোন আমাকে মানে তাই আমি সে দিক থেকে অনেক সুখী ।
আমাদের তিন ভাই-বোনের মধ্যে আমি বড় এটা আগে আমার মাঝে কাজ করত না, আমি আমার ছোট বোনটাকে কত মারতাম শুধু মাছের লেজের জন্যে এখন আমার ছোট্ট বোনটি কলেজ জীবন শেষ করলো আমার মনে হচ্ছেনা যে ও অনেক বড় হয়ে গেছে তবে মজার বিষয় হল বাড়ীতে গেলে ও বাবা মাছ নিয়ে আসলে আমার আর লেজ খাবার কথা মনে পরেনা আর অন্যদিকে আমার বোন ও খায়না , এ কেমন কথা , তার জন্য আবার আমার হাতে মারখায়, আমি চাচ্ছিনা ওকে মারি আবার সে মার ! তবে ফ্রেন আমরা দুই ভাই-বোন অনেক মজা কতাম আর মারামারি এটা ছিল আমাদের দুই ভাই-বোনের হাতিয়ার ।

No comments:
Post a Comment