আমার লেখা কবিতা


১.স্মৃতির পাতা

স্মৃতির পাতায় লিখে রেখেছি তোমায়
মনে পড়লে মাঝে মাঝে দেখি
মনেরি পাতা শুন্য করেছি
তবুও মুছে যায়নি তোমার স্মৃতি

অনেক বার চেয়েছি ভুলতে তোমায়,
ভুলতে তো পারিনা ,
তোমার ব্যথা বারে বারে এসে দেয় যে যন্ত্রণা
যাকে গিয়ে বলি সেই যায় চলি , উত্তর মিলেনা
আমারি হৃদয় পুরে হীনতায় ,
মাঝে মাঝে আবার অসয্য যন্ত্রণা

বুঝাতে চেয়েছি কত কিছু তোমায় ,
বুঝতে চাইলে না ,
শুন্য পথে ফেলে চলে গেলে তুমি,
ফিরে ও তাকালেনা

কত ডেকেছি তোমায় মনেরি ভুলে,
আস যদি তুমি ফিরে ,
ক্ষনিকের নামটি যায় যে ভুলে,
তবুও তুলে রেখেছি তোমার নামটি
হৃদয়ের পাতায় মাঝে মাঝে মনে আসে
উজান স্রোতের পাল তুলে

নদীর বুকে আসে যখন ভাঁটা,
মনে পড়ে তার স্মৃতি
আবার যখন কানায় কানায় ভরে,
শুনা যায় তার সুর-সংগীতি

আমারি সুর তেমনি সুর যেমন নদীর বুকে,
নদী যদিও থাকে সুখে ,
আমারি হৃদয় কাঁদে মাঝে মাঝে বন্ধু হারানো শোঁকে

মনেরি মাঝে ছিদ্র হয়েছে বাবুই গাছের কাঁটায় ,
হয় তো এখন মনেরি কথা আসা যাওয়া করে
গুরে স্মৃতিরই পাতায়

২.মায়ার বাঁশি
-মোঃ খোরশেদ আলম

আমারি দেশ আমারি মায়ার বাঁশি
তায় তো পারিনা ছেড়ে যেতে,
বারে বারে ফিরে আসি
আমারি দেশ আমারি চলার পথ ,
তায় তো পারিনা ভুলতে স্কুল জীবন
মাঠে দাড়িয়ে করে ছিলাম যে সপথ

আমারি দেশ আমারি গর্বের ধারা ,
তায় তো উকি মেরে দেখি
আসিল কি কোন বিন দেশি ?
কু-মতলব থাকিলে করবো তাদের তাড়া

আমারি দেশ আমারি যাদুর বাঁশি
তায় তো যেখানে থাকি ,
মায়ার টানে উরে উড়ে আসি
আমারি দেশ আমারি স্বপ্নের বোরাক ,
তায় তো লাগেনা খুঁজতে আলাদিনের যাদুর চেরাগ

আমারি দেশের মাটি সব চাইতে ও খাঁটি
তায় তো কিষাণের মুখে দেখতে পাই মধুর হাসি
আমারি বাংলা সোনার বাংলা
আমারি প্রানে ছোট্ট মায়ার বাঁশি

৩. মাছরাঙা পাখি

যে হৃদয় তোমাকে দিয়েছিলাম
আজ সে হৃদয় শুন্য
যে হৃদয় ছিল অনেক দামী
আজ সে হৃদয় হয়েছে নগ্ন

যে হৃদয় গাইত তোমারি গান
আজ সে হৃদয় পড়ে আছে এক কোনে
যায় যায় বলে প্রান

তুমি বুঝতে চাওনি আমারি হৃদয়ের আকুতি ,
তোমারি জন্য এই হৃদয় করেছিল কত মিনতি
আজ হৃদয়ের কথা মালা থুবরে পড়ে আছে
পায়না বলে তার হারানো সাথী

শুধু এটাই বুঝলে তুমি
দেখেছ আমারি হৃদয়ের করুণ পরিণতি
তবে শোন , আমি চাই তুমি সুখে থাকো
নিয়ে তোমারি সঙ্গের সাথী

আমারি জীবন কেটে যাবে
গাইতে গাইতে তোমাকে নিয়ে
একদিন হয়তো করে নেবো সঙ্গী সাথী
তবে পাবে কিনা ভালবাসা , তা জানিনা ,
তুমিইতো ছিলে আমার হৃদয়ের উজান স্রোতের গাংগে
হয়ে একটা মাছরাঙা পাখি

তায় যত বার দেখি করি ডাকা ডাকি
হটাত উড়ে যায় কোথায়
নিয়ে মাছ, দিয়ে আমায় ফাঁকি

৪. কল্পনা
(খোরশেদ আলম )

আমি নাকি জন্ম নিয়েছি এই দিনে,
তাই সবাই বলে
আজকে আমার জন্মদিন

আমি নাকি দুনিয়ার মাঝে
জায়গা করে নিয়েছি এই দিন,
তাই সবাই মনে করে এটাই আমার সু দিন

আমি জানিনা ,বাচবো কয়দিন ?
জানি শুধু এখানে থাকা
আমার শুধু কিছু দিন

আমি জানি আমাকে চলে যেতে হবে একদিন
জানবো শুধু আমার শ্বাসন শেষ এতোদিন
আমার যাওয়ার পরবে যখন ডাক ,
কেউ তখন আমাকে করে দেবেনা একটু পাঁক
কেননা আমাকে সবাই বলবে ,
ও এবার চলে যাক

কত লোক ডাকত  আমায় স্যার স্যার  বলে ,
এখন ডাকি আমি, তারা যায় চলে
যাদের সাথে ছিল আমার চলা ,
এখন কেন তারা, আমায় দেখে বলে পালা ,
সবাই বলে থাকলে এত বাড়বে আরো জালা ,
তার চায়ে শুন্য ঘর থাকলে রবে ভালা

৫. ভেজা সকাল

সকালে ওঠা হল, একটু  হাটাও হল
একটু ঘুরে আসা হল,
তবুও মনে হয় আবারো কোথাও যাই

কেননা ঘাসের উপর পা রাখাটা,
আলাদা অনুভতি আর কিছুতে পাই নাই

থম থমে আকাশ,
মাঝে মাঝে মৃদু বাতাস
যেন গায়ের শক্তিকে নিস্তেজ করে
আবার নতুন কিছু দিয়ে যায়

ফুলের বনের ফুল গুলো  যেন মুখ গোমরা করে আছে
পায়না বলে সূর্যের আলো
আগের মত খুব ভোরে শিউলী আসেনি
তার রসের হাড়িটি নামাবে বলে
টুপ-টুপ করে পড়ছে রস গুলো হাড়ি ফুরে মাটিতে

চারদিকে খুব নির্জন,
টিপটিপ করে মাঝে মাঝে বৃষ্টি পড়ছে
সাথে হাল্কা শীতের ভাব
চারদিকে তাকালে দেখা যায় সবুজের সমারোহ
তবে আসেনি এখনো কিষাণ


রেখ বিশ্বাস যতদিন আছে
আমি আজো বলিনি কাওকে তুমি চলে যাবে
আমি আজো বলিনি কাওকে আমাকে ছেড়ে যাবে
শুধু বলি তুমি শুধু আমারি রবে,
আমার এ স্বপ্ন

৬. লাল শাড়ী
প্রিয় আমি আজো আছি,
তোমারি জন্যে বসে
জানিনা কবে তুমি আসবে আমার পাসে

তুমি দিয়েছিলে একটি শাড়ী
তা নিয়ে আজো আমি অনাহারি ,
কান্না আমায় খুঁজে
তাকি প্রিয় পাড়াপড়শি বোঝে?

তোমাকে দিয়েছি কথা ,
থাকবো বসে একা যখন তুমি আসবে ফিরে,
করবে এসে দেখা
আমি আর কত কাল থাকবো বসে
তোমার দেয়া চঠি গুলে যাচ্ছে জলে মুছে

পাড়ার লোকে আমায় নিয়ে কত কথার ছলে ,
, আমার এ মন সারাটিক্ষণ তোমার কথায় বলে
তোমার দেয়া লাল শাড়ী ভিজে গেছে জলে
আজ আমি শুকাইনি তা আসবে তুমি বলে.

৭. ভাগ্য বিড়ম্বনা

কীভাবে একদিন নিরাশ্রয়, অনাহারি হয়ে
আমার এই তটভূমিতে এসেছিলে তুমি ,
আর আমি তোমাকে দিয়েছিলাম
খদ্য, পানি আর আশ্রয়

দিয়ে ছিলাম আমার এই দেহ মন,
দিয়ে ছিলাম আমার বুকডিঙ্গানো ভালোবাসা,
দিয়েছিলাম আমার এই রাজত্ব ,
তাতেও তুমি হলেনা আমার প্রেমে মত্ত

তোমার ভালোবাসা কতইনা দামি ,
চলে যাও তুমি , চলে যাবো আমি,
তবুও সর্গের মাঝে
তুমিই হবে সবচেয়ে দামি

হইতো তুমি এসেছিলে মরিচিকা হয়ে
তোমারি ব্যথা আমি নীরবে যাবো সয়ে ,
কেওতো জানবেনা
শুধুই বলি এতটুকু ,দোষ তোমার না,
এ আমার ভাগ্যের বিড়ম্বনা

৮. হৃদয় বোঝেনা কোন ব্যথা

ভালোবাসার একটি নাম হৃদয়
যা হাজারো বাঁধা মানেনা
যা হাজারো আঘাতে ঝড়েনা
গুমরে গুমরে কাঁদে কখন ও মরেনা

ফুল যেমন জন্মেনা মধু ছাড়া
ভালোবাসা তেমনী হয়না হৃদয় ছাড়া,
ভালোবাসার হৃদয়
বোঝেনা কোন অজুহাত
তায় তো সারাক্ষন  বলতে চায়
হৃদয়ের না বলা কথা

ভালোবাসার হৃদয় বোঝেনা কোন ব্যথা ,
তায় তো বন্ধুটিকে শুনায় মিষ্টি মুখের কথা
ভালোবাসা মানেই ললনা ,
তাই তো এক জন অন্যকে ছাড়া থাকতে চায়না

ভালোবাসা অনেক তীক্ষ্ণ
তায় তো দুটি হৃদয় মুহূর্তে হয় উদ্দিগ্ন,
একজন অন্য জনকে পেলে হয় ধন্য
ভালোবাসা এমন একটি কথা
যা শুনলে মুহূর্তে ঝড়ে হৃদয়ের আকুলতা

ভালোবাসা এমন এক সুর ,
যা হয়তো দেয় সুখ নয়তো দেয় ব্যথা ,
শুনতে চায়না কোন ব্যকুলতা

৯. হৃদয়ে কপোতাক্ষ

গিয়ে ছিলাম ঐ গাঁয় ,
যেখানে পাখির জাঁক এসে খেলা করে যায়
যেখনে কবিরা এসে কবিতা লিখে যায়
যেখানের নদী এসে মোননা হারায়
যেখানে  মাইকেল মধুসূধন দত্ত থেকে ছিল
লিখে ছিল মহা কাব্য

আমি গিয়ে ছিলাম  সেই গাঁয়
দেখবো বলে , বাংলার  সনেট গুরুর কে
কিছুক্ষন থেকে ছিলাম তার চরন তলে
একটু খানি দাড়িয়ে পড়েছিলাম তাঁর সেই কবিতা ,
যে কবিতাটি তিনি লিখে ছিলেন
বেদনায় ভরা অশ্রুর স্রোতে,
নিজের শৈশব কে স্মরণ করে

সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে |
সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে ;
সতত ( যেমতি লোক নিশার স্বপনে
শোনে মায়া-যন্ত্রধ্বনি ) তব কলকলে
.........

চারদিকে কোলাহল শুন্য
মনে হল আমার যাত্রাটা এবার হয়েছে পূর্ণ  ,
কিছুক্ষন থেকেই কবির চরণ তলে

ভ্রমণ শেষে ফিরে এলাম সেই নদীর দাড়ে
ঠিক তেমনি ভেবে ছিলাম  ,
কবি যেমনি লিখেছিল এই নদটি কে স্মরণ করে

কপোতাক্ষ তুমি বসে আছো আসন পেতে
পূর্ণ করেছ আমারি হৃদয় বক্ষ
বিদয়ের বেলা চলে এসেছে
তোমারি মাঝে ভিজিয়ে নিলাম আমারি দুটি হাত
হয়ে গেলাম আমি কবির মত তোমারি ভক্ত

উঠানের কোনে দাড়িয়ে বধূ
দেখতে ভাললাগে
পাগুলো তাঁর আলতো রাঙ্গানো
নূপুরের শব্দ ভেসে আসে

কাজের আড়ালে সুন্দর মুখটা হয়ে গেছে লাল
মাঝে মাঝে গোমটা তুলে
গুরে নেয় কপাল
কোথা থেকে এক যুবক ছেলে
উথানের কোনে আসে
তারে দেখে বধূ মুখ লুকিয়ে
দৌরে ঘরে আসে

১০. গল্প কিচ্ছে ( পর্ব -১)

তখন আমি অনেক ছোট গল্পে মজা পেতাম ,
গল্প শুনতে বারে বারে দাদুর কাছে যেতাম
গল্পে আছে অনেক কিছু
ছাড়তাম না তাই দাদুর পিছু
গল্প শুনতে দাদুর পাশে থাকতাম সর্বদায়

একদিন দাদু চলল হাটে আমি ছিলাম তারি সাথে
গল্প শুনবো তায়
দাদু আমায় বলল শুন দাদু ভাই তোর জেঠু মরেছে হেতাই
শুনেছি আমার জেঠু মরেছে ধরেছিল তারে ভূতে
তারি কাছে নাকি মাছ ছিল খেতে চেয়েছিল তাতে

জেঠু নাকি ছিল বেজাই রাগি হার মানতে চাইত না কিছুতে ,
তিনি নাকি অনেক বার কুস্তি করেছিল ভূতের সাথে
দাদুর কাছে জানতে চাইলাম
দাদু ভাই দাদু ভাই তা কি সত্য ?

দাদু বলল হ্যাঁ রে দাদু ভাই বলেছিস সত্য
তার জন্য মেরেছি কত আমারি আদরের ছেলেটাকে
শুনলো না কিছু শিখলো মন্ত্র
সেটা নাকি ছিল ওর যুদ্দ করার যন্ত্র

দাদুর কথা শুনে আমার গাবরে গেল মন
উল্টো আবার প্রশ্ন করলাম , কি হয়েছিল তখন?
আমারি কথা শুনে দাদুর চোখ ভিজিয়ে আসে
কাঁদ কাঁদ কন্ঠে কইল দাদু ভাই সে তো অনেক বড় কথা
এত কিছু বলা  যাবেনা দাদু ভাই চল হাটে যাই
ভুলে যাবো সব ব্যথা
(কবিতাটি পর্ব আকারে দেয়া হবে )

১১. গল্প কিচ্ছে (পর্ব -২)
-মোঃ খোরশেদ আলম

আমার দাদুর চোখে জল টলমল ,
আমারো  আসলো চোখে জল
দাদুর হাত ধরে চলে গেলাম হাঁটে ,
দেখলাম সবার সাথে দাদুর হাসি
নিভিয়ে দিল কষ্টের অনল

দাদুর হাসি দেখে মনেই হলনা তিনি আমার সাথে
হাটতে হাটতে বেদনা ভরা কিছু কথা বলেছেন
দাদুর কষ্টের মাঝে যে এত কষ্ট লুকিয়ে আছে
শুনতে আমার মন থাকে ব্যস্ত অবিরল

আড্ডা শেষ করে দাদু আর আমি ফিরছিলাম বাড়ী
দাদু আমাকে রাতের অন্ধ্যকারে লাইটের আলো মেরে বলল
দাদু ভাই এইটা ছিল আমাদের আগের বাড়ী
এখন কেঊ থাকেনা
সবাই চলে গেছে যার মত সে
ভূতেরা যায়নি বলে ছাড়ি

দাদুর কথা শুনে আমার আরো জানতে চাইল মন
দাদু ভাই , দাদু ভাই ভূতেরা কি করত এখানে এসে ?
না দাদু ভাই বলা যাবেনা
তোমার দাদি যে দিয়েছে আমায় আড়ি ,
কারো কাছে বললে নাকি সে যাবে আমায় ছাড়ি

দাদুর কথা শুনে মনে আসল ভয়
তার আগে আমার দাদির মন করতে হবে জয়
শুনতে হবে আমাকে সব কিছু
ভূতেরা কি আছে পৃথিবীতে অক্ষয় ?
(চলতে থাকবে )

১১. ফিরবেনা পাখি ফিরবেনা

খাঁচার পাখি পড়ে আছে খাঁচায়
করে না ডাকাডাকি ,
একটু খানি ধরতে গিয়ে
হারালাম সেই  পাখি

ডাকিতে ডাকিতে পাখি উড়িয়া গেল বনে ,
এতদিন তারে করিলাম আদর
কেনইবা না  পোষ মানে ?
শুন্য খাঁচা নড়ে চড়েঘরেরি চালে বাঁধা ,
মনেরই খাঁচা শুন্য যে আমার
বুজিতে হয়েছে সোজা

যে পাখিকে দিয়ে ছিলাম আমার
মনের মাঝে থাই ,
আজ সে পাখি করে ডাকাডাকি
গিয়ে অন্যের খাঁচায়

১২. বধূ

বধূ সাজে আসবে যখন আমারি ঘরে,
তবে কেন দূরে থাকা,
আমার কাছে আস, আমাকে ভালোবাস,
তোমার সুন্দর মুখটা দেখে,
আমি সারা রাত কাটিয়ে দিতে চাই

আর কি করবো জানো ?
রাতের পর আর একটি রাতের জন্য,
বিধাতার কাছে পারথনা করবো

এই ভাবে প্রতিটি রাতে আমি
আমার মনের আকাশে
জ্বলসে ওঠা আলো দিয়ে তোমাকে দেখবো,
তোমার মায়াবী রুপ থেকে একটু সুখের পরশ নেবো

মধু পাওয়ার আসায় যেমন
ভ্রমর ছুটে চলে ফুলের কাছে,
তেমনি ভালোবাসা পাওয়ার  আসায়,
আমি ও ছটে যাবো তোমার কাছে

আমার মাঝে এতটুকু আশা,
তুমি আমাকে কাছে রাখবে আর,
তোমার মায়াবী ভালোবাসা দিবে

প্রিয় আমার , আমি সেই আসায় আছি,
বধূ সাজে তোমাকে দেখবো বলে,
তোমার সাথে কিছু কথা বলবো বলে,
একিসাথে আমরা দু জন চলবো বলে

নীল রঙের সাড়ি  পরে,
অপলক সাজ সেজে,
বসে রবে বধূর গোমটা পরে

এইতো আর বেশি দেরি নয়,
আমি ছুটে আসছি তোমারি ধারে
সেড়য়ানি আর পাগড়ি মাথায়  পরে

বাঁধতে তোমায় ভালোবার ঢোরে,
সুখ আর স্বপ্নে ভরে দিতে ,
বধূ বানিয়ে আমার ঘরে নিতে ,
ভালোবাসার ছোঁয়া তোমায় দিতে
১৩. Hospital
Khorshed alam

আয় বন্ধুরা আয় ছুটে
যাবো সবাই প্রেম নগরেতে ,
ভালোবাসার মজা নাকি
চলছে এবার হাস্পাতালে

প্রেমিক দিবে জান কুরবান,
প্রেমিকা দিবে প্রাণ ,
পাড়া পড়সি দেখে বলে
মান অপমানে খানখান

মিলেও যদি দুটি জীবন,
মিলেনা তাদের আত্নীয় স্বজন,
প্রেম প্রেয়সী বন্ধুরা বলে,
কি বলে ?

ভালোবাসার দুটি জীবন
হবে তো হায় অসুস্থ এখন
ভালোবাসা করে যেজন ,
বোঝে অন্যের যন্ত্রনা ,
প্রমান সরুপ পেতে হলে
হাসপাতালে চলনা

১৪. নারী

বিধাতার কি দিষ্টি ,
নারী জাতীকে করিয়াছে সৃষ্টি,
নারী তুমি করিয়াছ ধ্বংস ,
আবার তোমারি কারনে সৃষ্টি

তোমারি কারনে শাহ্‌-জানের  চোখে জল ,
তোমারি কারনে আগামেমনন পেল বল
তুমি কি দিয়াছ পুরুষদের ?
আছে কি তোমার সম্বল ?

তোমারি কারনে ট্রয় হল ধ্বংস ,
আবার তোমারি কারনে জয়
নরী তুমি থাকো কেন আড়ালে ?
তোমারি জন্য পুরুষ নিষ্ঠুর ,
তোমারি জন্য চলে যায় বহুদুর

নারী তোমার একটু হাসন ফেলে,
পুরুষ বাহাদুর সবি যায় যে ভুলে
কেমনে তুমি কারিয়াছ মন ?
ফেলেছ মায়ার জালে

নারী তোমার দেখিলে মায়ার দিষ্টি
পুরুষের চোখে ক্ষনে ঝড়ে বিষ্টি
ঝড়ে যায় অতলে

১৫. আমি আসবো বলে


আমি আসবো বলে ,
জ্বলে ছিল কত আতস-বাতি
আমি আসবো বলে,
হাজার নয় কোটি জন ছিল মোর সাথী

আমি আসবো বলে,
হয়ে ছিলো কত অপেক্ষা
আমি আসবো বলে
বন্ধুর সাথে বন্ধু করেনি দেখা

আমি আসবো বলে,
হয়েছি কত আয়োজন ,
আমি আসবো বলে,
এক সাথে বসে হাত মিলিয়েছিল  কতনা সুজন

আমি আসবো বলে,
হয়েছিল কত দন্দ ,
আমি আসবো বলে,
মেতেছিল লোক,পেয়েছিল কত আনন্দ

আমি আসবো বলে
সারারাত ঘুমায়নি কত না  মায়ের খোকা
আমি আসবো বলে,
আয়োজন থেকে সরেনি চোখের পাতা

আমি আসবো বলে,

পালিয়ে ছিলো গ্রাম্য ছেলেটি
আমি আসবো বলে,
মার খেয়েছিলো পাগলা মেয়েটি,
আমি আসবো বলে,
ফকির ধরেছিল নতুন ভাটি

আমি আসবো বলে,
মায়ের বুকে জমেছিল কত ভয়
আমি আসবো বলে,
মা বলেছিল ছেলে-মেয়েদের কি হয়

আমি আসবো বলে,
পাড়ায় পাড়ায় কত না রঙের মেলা
আমি আসবো বলে,
যমেছিল সেখানে গরু আর মহিষের খেলা
আমি আসবো বলে
ফুলের মালি ব্যস্ত ছিল সারাবেলা
.....................

১৬. পুত্র শোঁক

গড়িয়ে পড়ে অশ্রু
বলি শোন মায়ে বেদনা ,
পুত্রের যদি কিছু হয় সইতে পারেনা
কে দিবে তারে বল একটু শান্তনা  ?
পুত্র শোঁকে হৃদয়ে তার বইছে যন্ত্রণা

দশ মাস দশ দিন গর্বে ধরে ,
প্রসব ব্যথা সইয্য করেদেখেছে সন্তানের মুখ
সে মা বল কেমনে সইবে ,দেখিলে সন্তানের দুঃখ ?
আদর সোহাগ দিয়ে যে মা আগলে রাখিত বুকে ,
সে মা বলো কেমনে থাকিবে পুত্র হারানো শোঁকে

যদিও সন্তান থাকে দূরে,
মায়ে মনটি গুমরে পুড়ে বুঝিতে তবু দেয়না ,
পুত্রের কিছু হলে তাহা বুঝিতে পাড়ে মা
জগতে যতদিন বাচিয়া থাকিবে মা
ততদিন তাঁর পুত্রের জন্য করিবে বেদনা
সেই মা কে বলো কে দিবে এসে পুত্র শান্তনা

১৭. বলি মধ্যবিত্তদের কথা

যদিও আছি আমি দুঃখে,
তবুও লোকমুখে  বলতে হয় ,
আছি অনেক সুখে

যদিও আমার ঘরে অভাব
তবুও চলি মুখে তেল লাগিয়ে
এটাই আমার সভাব

যদিও নূন আনতে পান্তা পুরায় ,
তবুও আমি বলি
মায়ের হাতের রান্নায় ,
আমার হৃদয় জুরায়

যদিও আমার ছেড়া শার্ট,
তবুও সেটা গোপন ,
সবারি সামনে আমি তো স্মার্ট

যদিও পকেট আমার ফাঁকা ,
তবুও বলতে হয় , কি জামেলা,
ব্যস্ততায় তুলতে পারছিনা টাকা

যদিও ঘরে নেই আহার,
তবুও নিয়মিত চলে রেষ্টুরেন্টে
নানান ধরনের খাবার
এটা শুধু আমার নয় মধ্যবিত্তদের কথা

১৮. একটি কবিতা লিখবো বলে
-মোঃ খোরশেদ আলম

একটি কবিতা লিখবো বলে আমি ছুটে যাই বহু দূর ,
শুধু একটি কবিতা লিখবো বলে,
মাঝে মাঝে হই ফকির আবার বাহাদুর

একটি কবিতা লিখবো বলে শুনি পাখির কন্ঠে গান ,
শুধু একটি কবিতা লিখবো বলে,
মাঝে মাঝে আমি নিরব মনে বসে থাকি ভরা দুপুর

একটি কবিতা লিখবো বলে করি কত পাগলামি ,
শুধু একটি কবিতা লিখবো বলে,
মাঝে মাঝে আমি থাকিনা আমার মাঝে আমি

একটি কবিতা লিখবো বলে সরিয়ে ফেলি মনের পর্দা ,
শুধু একটি কবিতা লিখবো বলে ,
মাঝে মাঝে থাকেনা চোখের লজ্জা

একটি কবিতা লিখবো বলে হৃদয় করি পাষাণ ,
শুধু একটি কবিতা লিখবো বলে,
মাঝে মাঝে মনের অজান্তে সব কিছুকে করে ফেলি সশান 

একটি কবিতা আমারি সব কিছু ,
শুধু একটি কবিতা আমাকে নিয়ে যায় ভরা যৌবনে ,
আবার থামিয়ে দিতে পারে শুন্যের পিছু

১৯. বাংলা রুপের বর্ণনা

সুজলা সফলা শস্যে শ্যামলা
রূপসী বাংলা মোর
তারি মাঝে আমার কাটে রাত্রি
আসে জীবনের ভোর

গাছে গাছে পাখি করে ডাকাডাকি ,
কোকিলের কন্ঠে গান
আমারি বাংলার এমন রুপ দেখে,
জুরাবেনা বল কার প্রান ?

মাঝে মাঝে মৃদু বাতাস
দেয় কতনা ফুলের সুভাস,
জুরিয়ে আসে প্রান ,
এমনই রুপের লাগি বল কে দিবে না
একটু হলেও বাংলা রুপের বর্ণনা

কিষাণের কাছে আছে কি প্রিয় ,
বলো ফসলের মাঠ ছাড়া  ,
তাদেরি জুরিয়েছে প্রান দেখেছিল যারা
বাংলার এমন রুপ দেখে হয়েছে দিশেহারা


২০. চাই স্বাধীনতা

শোন হে শোন, আমারি কথা শোন
তবুও বলি কিছু কথা , মানো নাই বা মানো
আমি যে বাঙালি! বাংলা আমার গালি !!
সেটা তোমরা জানো
আজ আমার গালি ফিরে এসেছে
ছিটকে পড়েছে মুখে বালি

যে বাংলার জন্য আমি দিয়েছিলাম গালি !
আজ সে বাংলার বুকে চলছে দালালি
আমারি গালালি হয়েছে কি চোরা বালি ?

আজ চলছে আমাদের মাঝে দন্দ
মাঝে মাঝে বাতাসে ভেসে আসে
মানুষ পোড়া গন্ধ
শেষ হবে নাকি এই দলাদলি ?
তবে আমাদের কি হয়েছে পেয়ে স্বাধীনতা
বলে সাধীন বাঙালি

যে বাংলার জন্য গড়েছে শহীদ মিনার,
প্রবাসী দিয়েছিল তাঁর জমানো দিনার
আজ পড়ে আছে সেথায় শহীদের মিনার
সামনে চলছে চোরা বালি 

তবে কি আবার সেই শহীদের নাম মুছে
আসবে নতুন শহীদের গাড়ি
দিতে হবে কি নতুন মিনার  ?

শোনঐ শোনা যাচ্ছে শহীদের গালি
তারাই ছুঁড়ে মারছে আমাদের দিকে
ধিক্কার চোরা বালি
আমাদের কে ছাড়তে বলছে জুলুমের দালালি

২১. পয়সা বাবু

পয়সা বাবুর আছে অনেক নাম
পয়সায় পুরে ভরপুর
তবুও বাবুর সবাবে ন্যাকামি
চাইতে গেলে জুড়ে দেয় বদনাম

খাট বাবু হাটে যখন দেখায় অনেক ভাল
যদিও বাবুর চাপড়া সুন্দর ,
হিংসে ভরা কাল

টাকা পয়সা চাইলে বাবু শোনেনা তখন কানে ,
দিতে গেলে বাবুর ছেলে মুড়ির নাস্তা আনে
নাতিনাতনি বাবুর পাশে থাকে সর্বদা
টাকার কথা বললে তারা , বাড়ে বাবুর কানে ব্যথা

রাস্তা দিয়ে দেখলে সবাই করে যে হায় হায় ,
বুড়া বাবু কিপটে বাবু হেটে হেটে যায়
দূর থেকে বাবু চেঁচিয়ে উঠে বলে-
আমার আছে তোদের কেন গা জ্বলে সর্বদায়

আমি দেখিছি বাবার টাকা
খেতে দিত শাঁক পাতা , আমি কি দিয়েছি তায়?
গিয়ে দেখ আমার ঘরে
আমারি ছেলেরা পড়ে আছে গলাই টাই

২২. ১৪ ই ফেব্রুয়ারি
-মোঃ খোরশেদ আলম

তুমি শুনতে পাচ্ছ আমারি কথা ?
কাল ১৪ই ফেব্রুয়ারি
তুমি আমি দুজন যাবো চলে
ফিরবোনা কালকে বাড়ি

গাছে গাছে বসবে পাখিরি মেলা
মাঝে মাঝে দেখবো বর-কনে খেলা
তুমি পড়ে আসবে কিন্তু লাল শাড়ী
লাল রঙেরই ফতুয়াটা পড়ে
আমি যাবো তোমার বাড়ি

আমি তো ভুলে গিয়েছি তুমিতো আসবেনা
যদিও শুনতে পাচ্ছ আমার আহাজারি
সে দিন থেকে আমি দিশেহারা
যে দিন তুমি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে
চলে গেছ আমায় ছাড়ি !!

২৩. আমি তো বাঙ্গালি
বেঙ্গে দে  আছে যত বন্দি শিবির  !
বলে দে আজকে পড়বে বাংলা শিশির
তুলে দে আছে যত জুতার মালা
বলে দে পাকিস্তানি যাবি শালা !!

আছে কে পাকিস্তানি বলবি মুখে  !
আছে কে বলবি এবার মরবো দুঃখে
আছে কে কারবি খাবার মোদের মুখের
আছে কে রাজাকারের গুষ্ঠিশালা  !!

দেখি আয় উঠাবো তোদের মুখের ছালা  !
দেখি আয় মারবি যদি সাননে দারা
দেখি আয় মেটাবো মেরে মনের জ্বালা
দেখি আয় বলবি সামনে তরাই ভালা । !!

আমি তো বাংলা মায়ের দামাল ছেলে  !
আমি তো গর্ব করি বাংলা নিয়ে
আমি তো একা নয়রে শোন্রে শালা
আমি তো আসছি এবার বাঙতে তালা। !!

পেয়েছি বাংলা মায়ের স্বাধীনতা  !
পেয়েছি বাংলা মায়ের নতুন  পতাকা
পেয়েছি বাংলা মায়ের নতুন সূর্য
পেয়েছি বাংলা মায়ের স্বপ্ন কথা !

স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা তুমি তো দিয়েছি নতুন রুপ ,
স্বাধীনতা আমি বুজেছি তোমার মাঝে  কত সুখ
স্বাধীনতা আমি হারিয়েছি দু কুল
স্বাধীনতা আমি বুঝেছি আমার ভুল
স্বাধীনতা আমি তোমার নামে দিলাম এই ফুল

২৪. বিদায় বেলা
কত নিবো আর বিদায়ের ভার
কত চলিবো সেই পথে
বিদায়ের কথা শুনিলে তো মোর
কান্নায় চোখ ভাসে
এত দিনের চাওয়া পাওয়া
সব কিছুতে খুঁজে পাওয়া, কত চলে ছিলাম একসাথে
আজ বুঝি তাদের ছেড়ে চলে যেতে হবে ,
চোখের জলে বুক ভাসে

মাঝে মাঝে ক্লাস ফাকি দেয়া,
স্যারদের সেথে  লুকো-চুরি খেলা,
বাড়ি গিয়ে মিথ্যে বলা স্মৃতির স্রোতে ভাসে
তাঁরা ছাড়া গড়তে মোদের আর কেবা আছে ?
কত কিছু বলতো মোদের ক্লাস করার ফাঁকে,
আজ বুজি ছেরে যেতে হবে তাঁদের থাবো না আর পাশে ?
স্যারদের দিকে তাকালে চোখের জল গড়িয়ে আসে

বিদায়ে সেই অনুষ্ঠানে বলেছিলাম আমার কথার মানে,
যত দিন মোড়া বাচবো জগতে থাকবো আপনাদের পাশে
আপনারা ছাড়া বিদ্যা দিতে আর কেবা আছে

২৫. ভুল


ভুলে ভুলে জ্বলেছি ,
বলো আর কত ভুলের কারনে জ্বলবো ?
ভুলের মাঝে হয়তো অভিমান করেছি
কি ভাবে মুখে বলবো ?

ভুল কি আমি করেছি ? তোমারি তো ছিল ভুল
তবে কেন, আমি একাই দিবো সেই ভুলের মাশুল ?
ভুলের ছলে বলেছি তোমায় ছেরে চলে যাবো ,
তবে বল, তোমার করা ছলাকলা কি
আমি আর কোথাও  পাবো ?

তোমাকে ভালবাসা আমারি জন্য ছিল কি ভুল  ?
তবে কেন ভালবেসে বলেছ কবুল ?
আজ তুমি দুরে দুরে,
আমারি হৃদয়ে ঝড়ে অশ্রু শ্রোত

তবু বলি শোন, বুঝেছি করেছি আমি বড় ভুল
ফিরে এসো তুমি ,
আবার আগের মতন
তুমি আমি ফুটাই প্রেমের ফুল

২৬. আর্তনাদ

চৈত্রের ভরা দুপুর চারদিকে ফেটে চোচির,
মাটিরি বুকে আত্ন খরা
যে দিকে তাকাই আহাকারের শব্দ পায় ,
আমারি নয়ন জলে ভরা

গাছে গাছে পাখি করে ডাকা ডাকি
একটু আহারের লাগি ,
মাটিরি রুপ দেখে কিষাণের বুক যায় ফেটে
ঘরের খাবার পুরাতে আর কয়টা দিন বাকি

ঘরে ঘরে আহাজারি কোথায় যাবে বাড়ি ঘর ছারি
ছোট যে চলার পথ
সবারি নয়ন জলে ভরা
চৈত্রের দিনে দেখেনি এমন খরা ,
বিধাতার কাছে হাত উঠিয়ে বাণী 

শোন হে প্রভু আর কত ধরিবো ধৈর্যয়,
কে দেখিবে বলো মোদের ?
আমরা যে তোমারি প্রার্থনা করি
তোমারি দেয়া অন্নের জন্য করি সবুর

২৭ . ওগো বুলবুলি

তোমারি জন্য আমি ধরিয়াছি গুলি ,
তোমারি জন্য আমি হারিয়েছি সব
ওগো বুলবুলি

তোমারি জন্য আমি ফাটিয়েছি
কানা মিয়ার নাক
তোমারি জন্য আমি মাখিয়াছি
বাবার হাতে কলঙ্কের কালি
তোমারি জন্য আজ আমি মাস্তান
তোমারি জন্য আজ আমি কুলাঙ্গার সন্তান

তোমারি ভালবাসা আমাকে করেছে উদাসী
তোমারি ভালবাসা আমাকে করেছে পরবাসী
তোমারি ভালবাসা আমাকে করেছে উম্মাত!
তোমারি সপ্নে রঙিন হয়ে
আমি কাটিয়েছি কত রাত

আজ তুমি নেই আমার পাশে,
তোমারি করা ছলাকলা গুলো স্বপ্নের মাঝে ভেসে আসে ,
আমি পারিনি বাঁধতে তোমাকে
রাখতে আমার পাশে

আজ তুমি কেমন আছো বধূ সাজে গিয়ে অন্যের ঘরে ?
আমি যে এখন ও রাত্রি যাপন করি পরে রাস্তারি পাশে
যেখানে তোমার আমার আড্ডা ছিল
আজ সেখানে হয়েছে মিনার ,
কত লোক যায় আর আসে
আমি তো তায় পরে আছি সেথায়
মনে করে তুমি আছো আমারি পাশে

২৮. তোমারি কাছে প্রশ্ন

কেঁদেছি কত
বলো আর কত কাঁদলে
তুমি আমারি কথা শুনবে ?

লিখেছি কত কবিতা
বলো আর কত লিখলে
তুমি আমারি কবিতা পড়বে ?

জানিয়েছি কত কথা কবিতার ছলে
বলো আর কত জানালে
তুমি আমারি মনের কথা বুজবে ?

থেকেছি কত অপেক্ষায়
বলো আর কত অপেক্ষায় থাকলে
তুমি আমারি হাত ধরবে ?

ফেলেছি কত অশ্রু
বলো আর কত অশ্রু ঝড়ালে
তোমারি মন একটু হলেও গলবে ?

তোমায় পেতে আমার হৃদয়
কুসুমের মতো মেলেছি,
পরশ পেতে বহু যুগ যুগ ধরে অপেক্ষাতে আছি

যদি তুমি চাও খেয়া বাইতে
তবে ফিরে এসো আমারি চোখের অশ্রুতে গড়া নদীতে
মনের সুখে বাইতে তোমার তরী
আর কত কাল গড়াবে বলো
চোখেরি নীচে কালি হয়েছে জড়ো

২৯.মায়ার বাঁধন

আমারি হৃদয় দিয়েছি তোমাকে
ফিরে যাবো বল কেমনে
আমারি মন তোমাকে চায় সারাক্ষন
বুঝাবে বল কোন জনে ?

দক্ষিনা  বাতাসে  কত ভ্রমর উড়ে উড়ে আসে
নিজেরি  ভালবাসার টানে ,
তেমনি আবার ফিরে  চলে যায়
বাতাসের সুর গানে গানে

আমাদের ভালবাসা থাকবে তেমনি
বলে ছিলে তুমিআছে কি তোমার মনে ?
তবে কেন বলো দূরে চলে গেলে
ভাসিয়ে নয়নের গগণে

যে ভালবাসা দিয়েছ তুমি
আজ তা ঝরে  বেদনার স্মৃতি হয়ে
আমারি মন মানবের মন
ভেঙ্গে দিলে তুমি পাথর ভেবে

তোমার জন্য রাখা সেই ফুল
কিনেছিলাম পড়েছিল বলে মনে ,
তোমাকে দেবো বলে রেখে ছিলাম  ,
অবশেষে ফেলে দিলাম বনে

তুমি যে হারিয়ে গেছ  হারিয়ে যাওয়ার বনে
তবে বলো কি লাভ হবে মিছে মায়ার থেকে
এই মায়ারি জগৎ প্রানে ,
আমারি বেদনা আমারি থাক কেউবা যেন না জানে

৩০. ফিরে এসো তুমি

তোমার একটু হাসি
ভুলাতে পারে আমার সকল আভিমান,
তোমার একটু চলায়
নিতে পারি আমি পিছু টান,
তুমি হাত বারালে
ভুলতে পারি আমি সব অভিমান,
তুমি এক বার ডাকলে
ডাকতে পারি তোমায় হাজার বার

আমি হইতো ভুল করেছি মিথ্যে অভিমানে,
তুমি তো পারোনা আমাকে ছেরে চলে যেতে
একবার হলে ও জড়াতে পারতে তোমার মায়া জালে,
আমি কি পারতাম চলে যেতে

তোমার কি একবার ও মনে পড়েনা,
তোমার আমার ভালবাসার  স্মৃতির কথা ,
যার প্রমান আমাদের আদরের ছেলে
তুমি কত বকতে আমায় ছেলের জন্য,
আজ কি তুমি ভুলে গেছো সেই কথা

তুমি হয়তো বসে বসে ভাব
তোমার করা ভুল গুলোকে স্মরণ করে
আমি এখনো বসে আছি তোমার অপেক্ষার প্রহর গুনে
তুমি আসবে ফিরে তোমার নিজের হাতে গড়া এই নীরে

৩১. রাগের আড়ালে প্রেম

তুমি হইতো মনে মনে অনেক কিছু বল
মাঝে মাঝে আমাকে বিরক্ত মনে কর,
তুমি তো জানোনা ,
আমি তোমায় কত ভালবাসি
হইতো তুমি বলে ফেল আমার আছে রাগ
কখন ও বলনা  এই রাগে
তোমার মাঝে জমেছে কতটুকু ব্যথা ভরা দাগ

হৃদয়ে জমিয়েছি ভালবাসা তোমাকে দেবো বলে ,
বুঝিনি আমি বুঝিনি  তুমি রাগকরে যাবে চলে
আজ আমার কত ভাঙন
হৃদয়ে মাঝে জমেছে পচন
তুমি তো নাই ধারে
একটুকু ও তুমি বুঝতে চাইলেনা
তবুও গেলে চলে

আমি বাসি কত ভাল একটু যদি বুঝতে
তুমি বলো ,তুমি কি পারতে
এভাবে আমাকে একা ফেলে চলে যেতে
আজ আমি বড় একা ,
যদি একটু পেতাম তোমার দেখা
হইতো দুর করতে পারতাম হৃদয়ের জমানো ব্যথা  

৩২. বহুরুপি  শয়তান

এই মেয়ে ভালবাসা দিবি কি না বল !
ভালবাসার ফাঁদে ফেলে করবি কত ছল !!
আশা ছিল তোকে নিয়ে, বাঁধবো সুখের বাসা
হৃদয় ভেঙে করলি তুই সবি নিরাশা

এই তোর কেমন প্রেম, কেমন ভালবাসা !
ভালবাসার ফাঁদে ফেলে আর কাকে দিলি আশা ,
এই মেয়ে তুই কি মানব!!
নাকি অন্য কোন জানোয়ার

হৃদয়ের মাঝে আগুন জ্বালালি
মনের মাঝে পচন ধরালি
ভালবাসা দিবি বলে
অবশেষে এই মনটা ভাঙলি

এই মেয়ে  সত্যি করে বল !
তুই কি মাতৃ-সন্তান নাকি সাধু বেশে শয়তান
তাই যদি হয় তবে আজ, কেড়ে নেবো তোর জান

পালাবি কোথায়, তুই পালাবি কোথায়,
আজ কেউ তো দেবেনা তোর মান
তুই তো মেয়ে নয় ,মেয়ে নয়
ভালবাসার বহুরুপি  শয়তান

৩৩. কি করে ভুলি তোমায়

যদি আসতে চাওফিরে এসো ,
তোমারি আসল ঠিকানা এই খানে
যদি বলতে চাওবলতে পার ,
তোমারি জন্য যমে আছে কত কথা
পুষে রেখেছি এই মনে

একদিন তুমি ছিলে আমারি মনের ঘরে ,
আজ তুমি বসতী করেছ অন্যের মনে ,
আমারি ভালবাসা পড়ে আছে আবর্জনা হয়ে
মনেরই গড়া ডাস্টবিনের এককোনে

তবে তুমি বলো , পেয়েছ কি সুখ ?
যাকে আপন করেছ সে চলে গেল
তোমারি করা ২য় ভুলের কারনে

তবু বলি শোন ,
যদি আসতে চাও ফিরে এসো  ,
তোমারি জন্য মনেরি ঘর
এখনো আছে শুন্যের মত পড়ে

৩৪. আধুনিকতা

ওদের কি আসে যায় কিছু !
যে ছেলেটি কাঁদত মায়ের পিছু
আজ সে আর কাঁদবেনা
চলবেনা অন্যের পিছু
মা জননী কিনবেনা ছেলের জন্য কিছু !!

ওরা কি বুঝবে মায়ের কষ্ট !
সেই বুঝবে যে করেছে ছেলেটিকে ভুমিষ্ট
ওরা তো করে গেল আপসোস
সারা জীবনের জন্য মায়ের মনে দিয়ে গেল পুত্র শোঁক !!

আজ মায়ের বুক খালি
উঠেছে কালো ধোঁয়া হৃদয় হয়েছে ছালি
ওরা কি বুঝবে মায়ের গালি !
ছেলের  জন্য বিক্রি করেছিল যে নিজের নাকের বালি

কত বলেছিল আছে আমাদের আধুনিকতা
বলে সব ডিজিটাল কথা ,
আজ সে সব কোথাই গেল , হারিয়েছে  শিশু !!
বলিবেনা কেউ বলিবেনা ,
আমরা তো হাঁটি অন্যের পিছু

৩৫. তুমি কে

আকাশে বাজিয়া উঠিল ধ্বনি
শুনেছি তোমার নাম খানি
কি করে খুঁজে পাই!
যাকে বলি সে যায় চলি
উত্তর মিলে নাহি পাই

কত দূর আর কত পথ হাটিয়া ছিলাম
খুঁজিতে তোমায়,
খুঁজিতে খুঁজিতে ক্লান্ত মন ,
অন্যের গান গায়

এক সময় তুমি ছিলে আমার ,
মনের মধ্য খানে
আজ সেথায় অন্যের বসত
তুমি পরে আছো এক কোনে

কত বিশ্বাস কত আশা
ছিল তোমায় নিয়ে ,
আজ তোমার সে আশা
দিয়েছি অন্যের সোপানে

যদিও চাই তবু নাহি পাই
গোমরে কাঁদি গোপনে ,
তোমারি সুধা এখনো দেয় ক্ষুধা
ভাসি নয়নের গগনে

৩৬. বাংলাদেশ

চির সবুজের একটি দেশ
আমাদের এই বাংলাদেশ,
রুপের মাঝে অপরুপা
গুনের নাইকো শেষ

কাজল দিঘির মায়া ভরা
শান্ত নিবির ছায়া ঘেরা
রুপের নাইকো শেষ ,
আমাদের এই বাংলাদেশ

শ্যামল মাটির কোমল পরশে
কোমল বাতাসের মেলা ,
ঘাস ফড়িং এর বাহাদুরি
চলে বিকেল বেলায়

ডালে ডালে পাখির নাচন
মাঝির কন্ঠে গান,
বাংলার এমন রুপ যে আমার
কেড়ে নিল এই প্রাণ

৩৭. হ্যাঁ-মাঝি

শুনেছ মাঝি , হাটিতে ছিলুম রাস্তা ধরে
কত লোক ডেকে ছিলুম, কেউ আসলোনা মাঝি
একটু আমার বোঝাটা তুলে নেবে বলে ,
কত বলে ছিলুম নে ভাই নে ভাই
পয়সা দেব পকেট ভরে

আমি কেমন শহরে গিয়ে ছিলুম মাঝি !
চেনা নেই জানা নেই জড়িয়ে ধরে আদর করে,
আরো আছে মাঝি
কিনা ছোট ছোট কাপড় পরে

বাবুর কথা শুনিয়া বুড়ো মাঝি হা-হয়ে গেল ,
অবাকের কন্ঠে কহিল
বাবু মশাই বাবু মশাই আছে কিছু আর বাকি ?
আমিতো দেখিনাই এমন সময়
গল্প বললেন নাকি ?

শুনিয়া বাবুর মাথা হয়ে গেল লাল
রাগের মাথায় ভাঁজ করিয়া কপাল
নারে মাঝি না , এতো সত্য ঘটনা !!
জাবি নাকি আমার সাথে, দেখবি তবে গিয়ে ?

বাবুর কথা শুনিয়া বুড়ো মাঝি
দেখিতেছে স্বপ্ন,
বাবু মশাই যেতে পারি
যদি থাকে আপনার মায়া যত্ন

শুনরে মাঝি, দেখিলে জাবি অবাক হয়ে
কত বড়, লম্বা গাড়ি যায়রে মাথার উপর দিয়ে
এতো বড় এমন শহর মাঝি!
জলদি আয় মাঝি !!
সব কিছু তুই দেখবি গিয়ে
চল রে মাঝি চল, যাবো তাড়াতাড়ি
সবার মাথার উপর দিয়ে

৩৮. তুমি আসবে বলে

তুমি আসবে বলে,
উঠেছিল সকালের ভেজা রোদ্র
তুমি আসবে বলে
কিষাণ দেখেছিল ফসলের মাঠে সমুদ্র

তুমি আসবে বল,
জীবনান্দ লিখেছিল মাহা কাব্য
তুমি আসবে বলে
লেখক লিখেছিল বাংলা লেখায় গদ্য

তুমি আসবে বলে,
দল বেদে চলেছিল কতনা মায়ের শিশু
তুমি আসবে বলে
ছোট্ট ছেলেটি কেঁদেছিল মায়ের পিছু

তুমি আসবে বল,
আবার সেজেছিল নতুনের সাজে মিনার
তুমি আসবে বলে
প্রবাসী দিয়েছিল তার জমানো দিনার

তুমি আসবে বলে,
মায়ের মুখে আবার এসেছে হাসি
তুমি আসবে বলে
রাখালি রেখেছে তার বানানো বাঁশি

তুমি আসবে বল,
স্কুল গুলোতে চলেছে খেলার কলা
তুমি আসবে বলে
বিশ্ববিদ্যালয় করেছে আয়োজন পালার
তুমি আসবে বলে, তুমি আসবে বলে , তুমি আসবে বলে

৩৯. ওরা তো অসহায়

গোধূলি বিকেল বেলা ,
হাটিতে ছিলুম রাস্তা ধরে,
সাথে চলেছে বেলা
কত  কিছু দেখে  ছিলুম,
মনের মত করে ,
হঠাৎ দেখে ছিলুম কোলা হল পূর্ণ ,
গিয়ে ছিলুম সরে

কত সুন্দর মাঠ-ঘাট নৌকা
ছুটে চলে ,
মাঝিরি সাথে নৌকার লোক গুলো
সাসিয়ে কি যেন বলে

দূর থেকে শুধু দেখিতে ছিলুম,
অসহায় মাঝির আহাকার
একটু খানি বারতি ভাড়া,
চাইছে শুধু বারে বার

তবুও বলি শোন ওহে ভাই,
দিয়ে দাওনা কিছু ,
ওদের তো নেই,
তোমার তো আছে
একটু বেশি দিলে আসে যায় কিছু ?

বাড়িওয়ালা তুমি চিনে ছিলুম তোমায়
থেকে ছিলুম তোমার ঘরে,
বারে বারে এসে বলিতে তুমি
আছে কি স্মরণ , দিবে ?

কতবার বল শোনা যায়,
তোমার বলা বলি শব্দ
তাইতো একদিন তোমার সাথে,
করে ছিলুম জব্দ

তুমি এসে তবো বলেছিলে হায়,
ছেরে দাও বাসা মোর
রাগের মাথায় বলে ছিলুম তোমায়,
আমরা নইকো চোর

মাস শেষ হলে চলে যাবো মোরা,
থাকবোনা তোমার নীড়ে

একটু যদি পার ওহে ভাই
দাওনা মাঝিকে
শুকিয়ে গেছে তার শোনার দেহ,
আছে কি বাহুতে


৪০. হে স্বাধীনতা

স্বাধীনতা, হে আমার স্বাধীনতা
আজো আমি কল্পনাতে হারাই
খুঁজে পাই স্বাধীনতার সেই পুরানো কথা
খুঁজে পাই স্বাধীনতার মায়ের বুকে কত ব্যথা

খুঁজে পাই গ্রামের বধূর মনের কথা ,
যার ঘর বাঁধা হল ,
হলনা বাসর
বলা হলনা তার স্বামীর কাছে মনের কথা ,
রাতের আঁধারে ছিনিয়ে নিয়ে গেল মান
উড়িয়ে দিয়ে গেল সম্মান

আজো শুনা যায় অনাহারি মায়ের কান্না
যে বসে আছে অপেক্ষার প্রহর গুনে
ছেলেটি তার কবে আসবে ?
কবে তাকে মা বলে ডাকবে ?
অনেক প্রশ্ন মনের মাঝে তার

চার দিকে শুধু অন্ধকার ,
রাতের পর আগের মত দিন আসে
দেখা হয়না সেই আলো
রাত পোহালেও পোহায়না মনের অন্ধকার
চারদিকে স্বজন হারানোর ভয়
এই নাকি শুনা গেল.........

রাতে ঘুম আসেনা
কান উচু করে রাখতে হয়
কখন জানি এসে পরে হানাদার বাহিনী
পাশের বাড়ি থেকে শোনা যায় বুঝি পালাও পালাও

স্বাধীনতাকে দেখিনি তার পরেও
মনে হয় যুদ্ধ করছি স্বাধীনতার জন্য
আমরা ধন্য সম্মান জানাই তাঁদের
স্বাধীনতা পেয়েছি যাদের জন্য

৪১. পরিবর্তন

কত সুন্দর তুমি  কত সুন্দর ,
তোমার মাঝে নাইকো কোন,
আগের মত কোলা হল

সকালের সূর্য দেখাও তুমি,
মনের মত করে ,
দেখিতে দেখিতে সকালের সূর্য
মনটা যায় যে ভরে

পায়ের নিচে নরম ঘাস
কতনা ভারি কমল ,
ভাবিতে ভাবিতে কেটে যায় আমার,
সকালের সে প্রহর

রোদ্রের দেয়া আলোকিত মাঠ ,
সবুজের সমারোহ ,
পাশের বাড়ির বুড়োটা এসে,
শুকায় তাহার দেহ

এত কিছুর মাঝে তুমি,
কতনা সুন্দর ,
বলনা তুমি বলনা ,
কি দিয়ে করি তোমার কদর

হাসি খুসি মাখা দিনের শেষে ,
রাতের আঁধার এসে
এত সুন্দর ফসলের মাঠ ,
দেয় অন্ধকারে ঢেকে

এভাবেই তুমি মিলিয়ে যাও অন্ধকারের দেশে
অপেক্ষার প্রহর গুনে যাও তুমি সুন্দরের বেশে
পারবেনা তুমি পারবেনা যেতে সেই আগের দেশে
তোমাকে তো যেতে হবে অন্য সুন্দরের বেশে


৪২. আমাকে একটু খেতে দাও

ও রে ও ধনী
তোর দিকে তাকিয়ে আছে কত মাজননী
ও রে ও পিপাসু
তুই একটু তাকিয়ে দেখনা,
রাস্তায় কত আনাথ শিশু

ও রে, একটু দেনা খেতে
চেয়ে দেখ আছে কি ওদের পেটে
তোদের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে,
তারাইতো মুখ চাটে

ও রে, ও ধনীর জননী
তোরাতো পারিস দিতে,
ফেলিয়ে দেওয়া টাকে
তোদের তো অনেক আছে,
শুধু একটা দেনা ?
আসবে কিরে তাতে

ওরে ও পাশান হ্নদয়
দেখনা ওদের কাঁদে হ্নদয় ,
তোদের আসে পাশে
একটু যদি দিবিরে তুই ,
ক্ষতি কিসে আসে

ওরে কি হবে আর লোক দেখিয়ে
না দেখিলে মান কি যাবে মিডিয়ারি পাশে
দিবি যদি দিয়ে দেনা
বলার কিসে আসে

দিলে দেখবি পাবি তাদের,
সব সময়ে পাশে
তোদের জন্যই ওরাতো হায়,
এ জগতে আসে

তোরা কেন থাকবি না বল
ওদেরি পাশে ?
পারিস যদি থাকনা পাশে,
এই দুনিয়া হল মিছে
যায় চলে আবার আসে

দেখবি একদিন ওরাই রবে
অসময়ে পাশে
তখন দেখবি তোদের হয়ে ,
বলার অনেক আছে


৪৩. বাবা তুমি আসবা না

বাবা আমি আজো বসে আছি,
তোমারি অপেক্ষায়
বাবা আমি আজো তাকিয়ে আছি,
তুমি আসবে বলে এই পথে

বাবা , বাবা মাঝে মাঝে আমার না ,
তোমার উপর রাগ করতে ইচ্ছে হয়,
কত দিন হয়ে গেল তোমাকে দেখিনা

বাবা জানো ,
আমি এবার প্রথম হয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উঠেছি,
তুমি আসলে তোমাকে নিয়ে স্কুলে যাবো
আমি আমার বন্ধুদের বলে দিয়েছি
আমার বাবা আমার সাথে আসবে
তুমি চলে আসো বাবা

(হাতে রাখা ছবিটি
ওর চোখের পানিতে ভিজে আছে ,
হঠাৎ তাকিয়ে বলে ওঠে )

ইস বাবার চোখে জল !
বাবা তুমি কাদছো ?
আমার লক্ষী বাবা কেদনা ?
বুঝেছি তুমি কেন কাঁদছো,
আমি আসতে বলেছি,
তার জন্য তুমি কাদছো

থাক; আমি আর বলবো না ,
আমার কেউ নেই !
আমি একা ,
আমাকে দেখতে আশার দরকার নেই

বাবা তুমি বলতো, তুমি আসবা না ?
তা হলে আমি কাল থেকে
আর ইস্কুলে যাবোনা
তোমার সাথে আমার আড়ি

(ছেলেটি ওর বাবার ছবিটি নিয়ে,
বলতে বলতে ঘুমিয়ে পরেছে
হঠাৎ চিৎকার করে ওঠে )

কি মজা বাবা আসবে , বাবা আসবে
সকলের চোখে তক্ষণ বইছে অশ্রুর বর্না
ছেলেটিতো জানেনা ওর বাবা শহীদ হয়েছে ,
আর ফিরে আসবেনা
ওর মায়ের কাছে গিয়ে আনন্দে বলছে,
মা, বাবা আমাকে বলেছে আসবে ,
(হঠাৎ দেখলো ওর মায়ের চোখে পানি ,
থোমকে গেলো ছেলেটি!
কাছে গিয়ে করুন কন্ঠে বললো)

মা , মা সত্যি বাবা আসবে না ?

৪৪. বিয়ে পাগলা

বয়স মোর হল চল্লিশ,
বীয়ের কথা কেউ কয়না .
কত কষ্ট জমা হ্নদয়ে ভালবাসা হয়না,
খুঁজে খুঁজে মোর হ্নদয় পুরিলো ,
ভালবাসায় পোরেনা

এ গ্রাম খুজি ও গ্রাম খুজি,
মনের মত হয়না
অবশষে পেলাম খুঁজে,
চাঁদের মত ময়না
বাড়ি এসে বললাম আমি ,
আমার কথা কেউ শোনেনা

মাথা গরম মোর কি যে করি,
কোথায় আমার ময়না ?
গিয়ে দেখি পরে আছে সে,
অন্যের হাতের গয়না

পাগলের মত ডাকি তারে,
কথা তো সে কয়না
হায়রে বুঝি উড়াল দিল,
আমার সুন্দর ময়না

কে পরিবে কে পরিবে,
আমার দেয়া গয়না
আজো আমি বিয়ে করিনি,
হাতে রেখেছি গয়না

৪৫. গোধুলি বিকেল
গোধুলি বিকেল বেলা,
মনে আছে তোমার ?
দুজন হেটে ছিলাম এই পথে ,
দেখেছি কত পাখির খেলা

কোকিলের কুহু ডাক তখন  ছিল বন্ধ
গাছের  কত না পাখি ,
ডেকে ডেকে করেছিল আনন্দ,
আমরা দুজন একেলা

তোমার ও হাত দুটি দিয়েছিলে আমার হাতে ,
বসেছিলাম দুজন নির্জন বিকেল বেলা
তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছিলাম
কত না রঙের খেলা

শালিকের ডাক, বকের মাছ ধরার ফাঁদ ,
কতনা  দিয়েছিল মজা 
গোধুলি বিকেল শেষে,
দুজন  চলেছি সেই পথে,
মনে পড়ে কি তোমায়ার ?
হারিয়ে যেতাম অন্য বেলায়

আজ তুমি নেই  এ পথে
আমি চলছি একেলা 
এখনও দেখি এসে সেখানেই বসে ,
উড়ে যাওয়া  পাখির  মেলা

আজ তুমি কত দূর,
আমি যে একেলা
যদিও আস কোনদিন  বলবে এসে,
দেখবো পাখির মেলা
আবার ও সেই আগের মত কাটাবো সারাবেলা

৪৬. মা আমার মা

মাগো তোমার হাসি কত ভালোবাসি ,
তুমি দূরে গেলে  আমি বানের জলে ভাসি
বারে বারে আসি ফিরে দেখি তোমার  মুখ ,
তোমার কাছে এলে মাগো পাই যে কত সুখ

কত মাকে দেখেছি মাগো তোমার মত নয় ,
তুমি কাছে থাকলে মাগো স্বর্গ  করিবো জয়
বিছানায় শুয়ে থাকলে মাগো কেঊ তো ডাকে না ,
খাবারের বেলা তুমি ছাড়া কেউ মনে রাখেনা

কোথায় তুমি গেলে মাগো আমায় করে  একা
একটু খানি এসে মাগো কর তুমি দেখা ,
তোমায় ছাড়া শুন্য মাগো ভাবতে লাগে একা
গুমের ঘরে রেখে মাগো কোথায় গেলে চলে ?
চোখ খুলে দেখি মাগো কাঁদি কাহার কোলে

সবার কাছে বায়না ধরি ,
মাকে দেখবো প্রান ভরি,
জিতলে তো মা কেউ রাখেনা বায়না দিবে বলে
তোরি কথা বললে মাগো সবাই যায় যে চলে
কত মাকে দেখি মাগো তোকে  কেন দেখিনা  ?
তোরে ছাড়া একা ঘরে থাকতে ভাল লাগেনা

আয়না মাগো কাছে আয় !
দেখবো তোরে  বলে ,
আমি ও কি তোরই মতন একদিন যাবো চলে ,
তক্ষণ তোরে কে ডাকিবে মা, মা, বলে

৪৭. মনে পড়ে কি তোমার ?

শীতের সকালে গাঁ গেসে দুজন হাটতাম এ পথে ;
কত কিছু নিয়ে বলতাম কথা আমরা প্রভাতে
শিউলির রসের হাড়ি করতাম কাড়াকাড়ি ,
তুমি আমি দুজন একসাথে থাকতাম
চলে যেতাম দূর দেশে

কতনা মধুর লাগতো তখন তুমি পাশে থাকলে
তার চেয়ে ভাল লাগতো আমার তোমার বাবা বকলে
বিচার দি্বো বিচার দিবো তোমার নামে শালিশ বশাব ,
মেয়ের পিছু হাটলে

মনে আছে কি তোমার, মনে আছে ?
সেইনা গ্রামের মেলায়;
তুমি আমি দুজন পালিয়ে ছিলাম প্রভাতে
ফিরেছিলাম সন্ধ্যা বেলায়
বাড়ি এসে দুজন দেখেছি ফ্যামিলি ফ্যামিলি খেলা ,
তোমার বাবা আমার বাবা রাস্তার মোড়ে বসে ,
চা-সিগারেট টানাটানি বাড়ি ফিরলো শেষে

বাড়ি এসে দেখলো যখন তুমি আমি নাই
দুজনের দিকে তাকিয়ে দুজন দেখালো একি মজা ,
আমার বাবা বলল প্রথম বাড়ি আসুক, দিমুনি সাজা
তোমার বাবা লাফিয়ে বলল ,
আমার মেয়ে ঘরে নিবি তাকি এত সোজা !

অবশেষে ঘরে ফিরলাম আমরা দুজন ভয়ে
তার পর আর দেখা হল না তুমি গেলে কোথায় চলে
অনেক খুঁজেছি তোমায় অনেক খুঁজেছি
পাওয়া গেলনা শেষে

৪৮. পৃথিবীর মায়া জাল

বৃদ্ধ  বয়স মোর কত থাকিবো এই মায়ার পৃথিবীতে, আর কত কাল
যদিও থাকতে চায় কিন্তু শুনিতে হয় আমার আদরের সন্তানদের গাল ,
কত আদর করিতাম তাদের ,আগলে রাখতাম এই বুকে ,
আজ আমার সেই সন্তানরা মারছে আমায় দুকে

আমার গড়া এত কিছু চায় না কেঊ দিতে
আমি নাকি একলা মানুষ আছি এই পৃথিবীতে
আজ আমি পড়ে আছি এক কোনে, যাবার সময় হবে বলে
যে আসে সেই বলে আমি নাকি যাবো চলে , আর কি হবে থেকে
আমি এখন নীত্সহারিয়েছি সবকিছু,
যাদের আশায় বেধেছি বুকতারাই বলে চলে যেতে

কত কিছু বলতে মন চায়, বলতে পারিনা শোঁকে
আমার বলার আসে যায়না করো, কেউকি আর রাখে
আদরের সন্তান , ওদের না দেখিলে
মনে হয় থাকতো না আমার দেহে প্রাণ
আজ তারা আমায় করেছে পর
আমার মেয়ের শশুর বাড়ী এখন আমার শেষ ঘর
যেখানে আমার চলিত ক্ষমতা
আজ সে কথা মনে পড়লে চোখে গড়িয়ে আসে জল
ছেলেরা বুজি বুজতে চাইলোনা তারাই ছিল আমার সম্বল


৪৯. ভালোবাসার আবেগ

অনেক চেষ্টা করেছিলাম,
তোমাকে দেখবো বলে,
দেখিয়ে ছিলাম কতনা অজুহাত কিন্তু,
সফল হয়নি সেই প্রভাতে

আমাকে না বলে তুমি
যেন লুকিয়ে ছিলে আড়ালে ,
আমিতো মনে করেছিলাম
তুমি বুঝি আমার জীবন থেকে হারালে

এদিক ওদিক কত খুঁজেছি ,
কতনা চেষ্টা করেছি তোমাকে দেখবো বলে
কত লোক পাঠিয়েছি ডাকবে বলে তোমাকে কিন্তু না,
আসার সময় তুমি উদাও

মনে মনে ভেবে ছিলাম,
তোমার সাথে বুঝি আর দেখা হবেনা কিন্তু না,
কোথা থেকে এসে তুমি আমার পাশে দাড়ালে
পেচন থেকে একটু করে তোমার হাত বাড়ালে ,
বুঝতে পারিনি তখন কোন কিছু

না বুঝতেই আমি এসে তোমার পাশে দাড়ালাম ,
তুমি কতইনা লজ্জা পেলে তখন,
দুজনার দিকে পড়সিরা যখন তাকিয়ে হাসছিল
লোকে অনেক ভাবতে পারে,
তাতে আমার কিছুই আসে যায় না ,
শুধু আমি কি ভাবলাম জানো ?
অনেক সাধনার পর বুঝি তোমাকে দেখলাম


৫০.মেঘনা আমার

চলিয়াছি আমি মেঘনার বুকে
চারদিকে অন্ধকার,
মাঝে মাঝে আমি মেঘনার বুকে
শুনিয়াছি শব্দকার,
থমকিত আমি শুনিয়াছি একি!
তাকিয়ে দেখি কিছু নয় জেলে দল
আকাশে ঝলে মিটি মিটি তারা
নদীতে জোনাকি আলো
নদীরি  দিকে তাকিয়ে থাকতে
কতনা  লেগেছে ভালো

মেঘনার ঢেউ উথাল পাতাল
একুলে ভেঙ্গে ও কুল করে সমতল
এমনি করে মেঘনা আবার এনে দেয়
কারো জীবনে কালো,
কারো হৃদয়ে আহাজারি
কেউ চলে যায় সীমানা ছারি
নিবিয়ে ঘরের আলো

৫১.সংসারের মায়া জাল

চলে যাবে বন্ধু তুমি অন্যের ঘরে,
রাখিও তবু মনে ,
আমরা এখন পড়ে আছি  নির্জনে

যখনি আসে স্মরণ করো ,
রাখিয়াছি তোমায় মনে ,
এত দিনের হাসা হাসি কতনা পথ হাটা
আজ তোমাকে দিচ্ছি বিদায়
হাত দেখিয়ে টাটা

তুমি তো এখন একা নহে ,
অন্যের ঘরের বাতি
তোমারি স্বামী এখন তোমার শেষ বিকেলের সাথী
একদিন তুমি ছিলে কত আনন্দ উল্লাসে
আজ তোমার সাথে আছে স্বামী, থাকবে তারি পাশে

জীবন কত সুন্দর গড়িবে তোমার করে,
সুখ শান্তি তোমারি ঘরে আসবে একদিন ভরে
তোমারি কোলে হাসবে খোকন,
ডাকবে মা মা বলে, তখনি তুমি বুজিতে পারিবে
পরেছ সংসারের মায়া জালে


৫২. শেষ বিকেলের গল্প

নিরঝুম রাস্তা, চারদিকে কুয়াশায় ডাকা
আমি চলেছি একা ,
কত কিছু আসে মনে
গল্পের ঝুড়িটা করে ফাঁকা

এই পথ, যে পথ ছিলনা এত নিরব ,
কত করেছিলাম ছোটা ছুটি
খেলার ছলে করেছিলাম সপথ
ছেড়ে যাবোনা কাউকে ছেড়ে

আজ আমি বড় একা ,
তুমি রাখোনি তোমার সপথ ,
চলে গেলে নিরঝুম রাস্তায় আমায় একা ফেলে
আঝো ভেসে আসে তোমার করা ছলা কলা
তবুও বুঝায়ে রাখি মনটারে

আজ আমার হৃদয়টা যে শুন্য
সবার কাছে আমি যে নগন্য ,
তোমারি গল্প ভেসে আসে অল্প অল্প করে,
কেমনে বুঝাবো সবারে !
হৃদয়ের খাতা শুন্য আমার
গল্পের শেষ বিকেলে

৫৩. শেষ বিকেলের গল্প-২

আসিতে ছিলুম কর্মের সন্ধানে
কোথায় কি মিলে তা কি কেউ জানে ?
আমি তো এ পথের পথিক
তায় ছুটে চলি
নিজের ব্যথা নিজের মনে কাউকে কি বলি !

ছিলাম অনেক ছোট
মা বাবার আদর সোহাগ আমি পাইতাম কত
আজ আমি অনেক বড় লোকমুখে শুনি,
পাড়া পড়শি দেখলে শুনায় তাঁদের মুখের বানী

বুজিনি এত কিছু পড়িবে আমার উপর
যারা আমার ছোট আজ তারা বুক ফুলিয়ে দেয় পাপর
তাঁদের নাকি অনেক টাকা
আমার ছেড়া কাপড়

আমার বাবার ছিল কত শক্তি কন্ঠ শুনিলে পালাতাম আমি
আজ সেই বাবা দিনে দিনে স্তব্দ ভয় পাইনা আমি
তখনি বুজেছি আমি
বাবার কাছে আমি বুঝি সবচাইতে দামি


৫৪. শেষ বিকেলের গল্প-৩

বসে ছিলুম গোধূলি বিকেলে
এক কোলাহল পরিবেশে
দেখেছিলুম গাস পড়িং এর খেলা
যাচ্ছে বাতাসে ভেসে
মাঝে মাঝে বকের দল বেকেকিয়ে আসে
দলপ্রতির আদেশে
একটু পর আবার  মিলিয়ে যায় তারা তিনটি দলের বেশে
বুঝিতে পারিলাম না কিছু
চোখের দিরিষ্টি দিলাম শেষে তিনটি দলের পিছু
এক সময়ে নেমে আসলো একটি দলের পিছু

মনে হয় যেন আকাশের বুকে আলোর বীজ বুনা  ,
মেঘেরই আড়ালে ঢাকা একালের সুয্যি মামা,
গায়ের যুবক শুকাতে দিয়েছিল তার গায়ের জামা
মাঝে মাঝে সূর্যের আনা গোনা

৫৫. শেষ বিকেলের গল্প-৪

মনেরি গহীনে লেখা আছে তোমারি নাম ,
তবে বল, কি করে দেই তোমার বদনাম  ?
কত ভালবাসার ছরাছরি ছিল তোমার আমার মাঝে,
মাঝে মাঝে দুজন হারিয়ে যেতাম নিমিসে

যখনি বসি পুকুরের ঘাটে
ভেসে আসে স্মৃতি গুলো, কবিতার ভাজে ভাজে
তুমি বল, তোমাকে দোষারোপ করা কি আমার সাজে ?

তোমারি স্মৃতি গুলো লেগে আছে বুকে
জানবে না কেউ, জানবেনা অন্যলোকে
তুমি যে চলে গেছ
ভাসিয়ে আমায় অশ্রু নদীর শ্রোতে

তবে শোন, একটু হলেও মান,
আমারি ভালবাসা তোমারি জন্য
পাবেনা অন্য লোকে
আমি যে তোমায় বেসেছি ভাল
ভালবাসা দেবো বলো আর কাকে ?

ফিরে এসো তুমি , ফিরে এসো,
তুমি আমি দুজন চলে যাবো দূর অজানার দেশে
যেখানে ভালবাসা তোমার আমার থাকবে গলে মিশে ,
তুমি আমি দুজন হারি যাবো ফিরবোনা এইদেশে

৫৬. শেষ বিকেলের গল্প-৫

তোমারি খোজে আমি চলে যাই
চোখ ভুজে কুয়াশা ভরা এই পথে ,
তবু যদি পাই কষ্টের কিছু নাই
চলে যাবো দুজন ছোট্ট এই ডিঙায় ,
অজানা নদীর স্রোতে

নদীরি বুকে চলবে
তোমার আমার প্রেম বিনিময়,
মাঝে মাঝে খেলবো পানি নিয়ে হাতে
থাকবেনা অনুনয়

নীলিমার পানে তাকাবো দুজন
মিলিয়ে যাবো প্রেম স্রোতে
হেসে খেলে আবার সন্ধ্যায় ,
ফিরবো কুটিরে এই পথে

৫৭. শেষ বিকেলের গল্প-৬

কি ভাবে লিখবো তোমায় নিয়ে ,
যখনি ভাবি চোখে জল গড়িয়ে আসে
দক্ষিনের বাতাস বইছে
গা গেসে অল্প অল্প এসে

কি ভাবে লিখবো তোমাকে নিয়ে
যখন নিজেরি মনে ধরে আছে পচন
দুঃখের যন্ত্রনায় মরছি ধুঁকে ধুঁকে

কি ভাবে ধরবো হাতে কলম,
যখন নিজেরি হাতে
নিজেই কেটে করেছি  যখম ,
যন্ত্রনায় কাঁপছে থেকে থকে

কি ভাবে ডাকবো তোমায়
যখন গল্পের শেষ হয়েছে ,
শুরুটাই শেষ না হতে হতে


৫৮. মনে পড়ে তোমাকে

আমি না আগের মত তোমায় নিয়ে ভাবতে পারনা ,
আমি না আগের মত তোমার জন্য কাদতে পারিনা ,
আমি না আগের মত তোমায় নিয়ে বলতে পারিনা কোন কথা

আমিনা আগের মত সে পথ দিয়ে চলতে  পারিনা ,
যে পথে পড়ে থাকতো শুকনো পাতা
আমি না আগের মত দেখতে পারিনা তোমার ছবিটা ,
তাই তো লিখতে পারিনা কোন কবিতা

আমিনা আগের মত দেখতে পাইনা কোন কিছু
তাইতো আসেনা কেউ আমার পিচু  পিচু
আমি না সব কিছু কে জঞ্জাল ভাবি ,
তাই তো এখানে পড়ে একা থাকি

বুজেছি তুমি আর নাই ,
তাইতো বয়সের ভাড়ে পাইনা থাকার কোন থাই
আমার এত বড় বাড়ি তুমি তো গিটাছ ছারি
আমি রব কাহার লাই,
তোমার জন্য রাখা আকতি নিরবে মিলিয়ে যায়

বুঝেছি আমি বুঝাছি তুমি বসে আছ আমার লাই,
এক দিন তুমি এসেছিলে আমারী ঘরে বেজেছিল সানাই ,
তার পর আবার চলে গেলে আমাকে কাঁদায়
তুমি থেক আমারি জন্যে বসে
আমার আসার দেরিনাই

আজকে তোমার বিবাহ বারষিকি আয়োজনে কেউ নাই ,
তোমার থাকা একটি ছেলে
সেও চলে গেল বাজাতে অন্যের সানাই ,
তোমার জন্যে তারো মনে কন মায়া নাই

এই চুপ কর তুমি তোমার ছেলে এসেছে
তাকে স্বাগতম জানাই ,
তোমার জন্যে আরোকিছু রাখিবো আনাই

৫৯. মনে পড়ে তোমাকে - ২

আজ তোমাকে  বেশি মনে পড়ছে,
জানিনা তুমি আমার কথা শুনছো কিনা ?
জানিনা তুমি আমাকে দেখছো কিনা ?
, তুমি যে ছেলেকে রেখে গেছ ছোট্ট ঘরে,
আজ তোমার ছেলে কত বড় হয়েছে

সে এখন বুজতে শিখেছে,
ভাবতে শিখেছে বলতে শিখেছে কত কথা !
ওর কাছে কথা বলে,
এখন কেউ পাত্তাই পাচ্ছেনা

সুদু কমেনি ওর দুষ্টুমিটা,
ওকে শাসন করতে করতে,
আমি আর পারছিনা
ঠিক তোমার মত,
যেমন বাপ তেমনি তার ছেলে

তার পরেও মনে হয় আমি পেরেছি,
আমার যেটা করার ছিল আমি সেটা করেছি,
চলতে দেইনি অসৎ পথে

আমাদের ছেলে আমাদের কথা রেখেছে ,
তোমার সপ্ন পূরণ করেছে ,
আজ সে কত বড় ডাক্তার!
সমাজে সবাই তাকে স্মমান করে

ছেলেটা কত বড় হয়েছে ,
অথচ তুমি কিছু বলছোনা ?
কি বলতে চেয়েছি তুমি বুঝেছ?
তোমার অনুমতি না নিয়ে ঘরে তুলেছি
লাল টুকটুকে একটি বউ,
যেমন করে তুমি আমাকে এনেছিলে

এই কিছু বলছোনা যে!
শুধু আমি কি একা বলে যাবো ?
তুমি কিছু বলো!
তোমার কি কোন পরিবর্তন আসবেনা ?

ও বুঝেছি তুমি তো সেই দিন থেকে
আমার সাথে কথা বলনা,
যেদিন থেকে করে গেছো আমায় একা

৬০. মনে পড়ে তোমাকে -৩

বাবা আজ তোমাকে
অনেক বেশি মনে পড়ে,
মনে পড়ে তোমার সে হাসি,
মনে পড়ে তোমার কড়া শাসন,
মনে পড়ে তোমার দেওয়া উপদেশ,
কিন্তু তুমি নাই আমার পাশে

আমাকে একা করে,
কেন যে পাঠিয়েছ এই শহরে ?
তোমাদের ছেরে আমি যে কেমন করে আছি,
সেটা বলার ভাষা আমার নাই

বাড়িতে থাকলে কত কিছু ঘটত,
তোমার ভয়ে মা আমাকে বকত,
হাত দুটি বেদে শাহী শসন করত


আজ আমি বড় একা
কেউ বলেনা আদর করে আয় খেতে আয়
আমার খাওয়ার সময় হলে ,
আমি নিয়ে খাই

খেতে যখন বসি বাবা,
মনে পড়ে তোমায়
খাওয়ার সময় পাশে রেখে,
খাওয়াতে তুমি আমায়

বুকটা আমার ফেটে যায় বাবা,
যখন মনে পড়ে তোমায়
সব কিছুকে ইতি বলে ছুটে যাই ছুটে  যাই
তোমার মুখটি দেখলে বাবা,
আমি শান্তি পাই

জানি বাবা জানি,
তুমিও বসে বসে কাঁদ আমার লাই
আমি ছাড়া তোমার যে হায় ,
আর তো কেহো নাই

৬১. মনে পড়ে তোমাকে -৪

মনের দুয়ার আজো রেখেছি খোলা
বসে আছি অপেক্ষার প্রহর গুনে
তোমার হৃদয়ে কখন লাগবে সেই দোলা ,
আমি তো সেই খানে বসে দোল খাচ্ছি
যেই খানে তুমি রেখেছো আমায়

আজ আমার সব কিছুতে আনমনা
মনে হয় হৃদয়ের মাঝে জমেছে
ভালবাসার  লাঞ্ছনা
আমি চাইলেও পারিনা ভুলতে

হৃদয়ের জমা কথা গুলো বেঁধে রেখেছি শক্ত করে
যখনি তুমি আসবে তখনি খুলে দেবো বলে
জানি তুমি ফিরে আসবে আমাকে চিনে নেবে বলে
তবে জানিনা সে দিন কি আমি চলে যাবো পৃথিবীর মায়া ছেড়ে

অহংকারের লোভে পরে,
চলে গেলে আমায় ছেরে
আজ তুমি কি আছো সুখে ?
জানি তুমি আর সুখের মাঝে নাই
কেননা অভাব তোমার পিছু বাজাচ্ছে সানাই

তুমি হয়তো বসে বসে কাঁদ
একটু হলেও আমায় জন্য ভাবো

৬২. মনে পড়ে তোমাকে -৫

শুকনো পাতার মর্মর শব্দ তুমি কি শুনেছ
কতইনা ভাল লাগে ,
বাতাসের আওয়াজ তুমি কি শুনেছ
কতই না ভাল লাগে,
তেমনি আমার, তোমার চাঁদ মুখ খানা দেখতে ভারি ভাল লাগে

শৈশবের স্মৃতি তুমি হয়তো একটু হলে ও ভেবে থাক
চুপটি করে এসে তোমাকে দেখে যেতাম ,
আর তুমি মুচকি হেসে আমাকে সাসিয়ে যেতে
তোমার সাসানিটা কে ভয় পেতাম, তবে হাসিতে মজা পেতাম

কত লুকোচুরি করে ছিলাম একসাথে,
পাড়ার সেই চাচার কথা কি তোমার মনে আছে ?
কতইনা বকত আমাদের, তবুও ছিল অনেক ভাল
কেননা তার লাগানো গাছ থেকেই পেয়ারা খেতে খেতে
জমতো আমাদের আড্ডাটা

কুয়াশা ভরা সকালে চলে যেতাম কত দূর
চারদিকে থাকতো কুয়াশায় ঢাকা
তোমার কি মনে আছে ?
তুমি আমার কাঁধে চরে পার হতে
খালের এপাড় থেকে ওপাড়

আজ তুমি নেই আমার সাথেআমি চলি একা ,
যে পথ দিয়ে চলতাম তুমি আমি
আজ সে পথ পড়ে আছে নিরজুম দীপের মত
যে খাল পাড় হতাম তুমি আমি আজ সে খাল শুন্য
তারি ভেতর দিয়ে চলে গেছে পথ কতদুর

আজ তুমি নেই আমার পাশে
তোমার রেখে যাওয়া স্মৃতি আমার পথ চলার সঙ্গী
আমার জীবন থেকে চলে গেল ১৫টি বছর
তার পড়েও আমি বসে আছি তোমারি অপেক্ষায়

তুমি আসবে বলে ফিরে
এপথে আবার দুজন চলবো ধীরে ধীরে
ফিরে এসো তুমি আমি তো এখনো সে গ্রামে
যে গ্রামে তোয়ার আমার জন্ম শুধু একটু পরিবর্তন হয়েছে

৬৩. মনে পড়ে তোমাকে -৬

তোমারি পানে আমি চেয়ে  থাকি
আসবে কখন ফিরে ,
তোমারি জন্য আমারি চলার পথ
থেমে আছে এই তীরে

তোমারি জন্য আমি সাজিয়েছি পাল ,
উজান নদীর স্রোতে ভেসে যাবো
অজানা কোন পথে
ফিরে আসবো সন্ধ্যার আকাশে
গোধূলির আলো দেখে

রাতের আকাশে চাঁদের আলো
দেখবো  দুইচোখ ভরে ,
তুমি তো থাকবে আমারি পাশে
রাখবো তোমায় কোল জুড়ে

উপমায় দুজন খেলবো মোরা
কলি কলি খেলা ,
তেমনি ভাবে কাটাবো মোরা
ফিরে আসবে সকালের বেলা

৬৪. স্মরণ

তুমি হলে ধণী, গুনিয়া দেখেছ কি
তোমারি আছে কতটুকু জমি ?
তোমার কত সুনাম
যে দ্যাখে সে তোমাকে হাত উঠিয়ে করতে প্রনাম
তুমি কি এক বারো ভেবে দেখেছ ?
কে দিয়েছে তোমাকে এই অধিকার
পেতে অন্যের স্মমান

তাঁর কথা এক বার হলে ও ভাবো
মনে মনে একটু হলে ও কাঁদ
পাবে অনেক এনাম
সে তোমার জন্য নিয়ে বসে আছে
দিতে তোমারি কাজের দাম

অর্থ সম্পদ আছে তোমার, আরো চাও কি  ?
যদি চাও দিবে তোমায় আরো বেশি ,
তবে বল তুমি একটু ভেবে
বিনিময়ে তুমি কি দেবে ?

তুমি ছিলে ছোট্ট একটি শিশু
তোমাকে বানিয়েছে তিনি দিয়ে কত কিছু
তুমি কি জান কি দিয়ে তুমি গড়া ?
তোমারি শরিরে আছে ২৩ টি জোড়া
( সংক্ষেপ)

৬৬.আজ মেঘনা শান্ত

কতনা শুনেছি মেঘনার কথা
কতনা দেখেছি তাকে
ভেঙে চুরে সব করিত সাড়া
কাঁদাত কত মাকে

আসে মেঘনা ভরা  যৌবন
খালি হয়না বুক
এক সময় মেঘনা আবার নিয়ে আসে সব দুঃখ

দিনের বেলা শান্ত মেঘনা রাতে করে আ-হা-হা কার
সব কিছু সে কেড়ে নিত
বানিয়ে অথোই পাথার
এখন মেঘনা কত শান্ত মনে হয় সে কালান্ত
বিদ্ধ বয়স তার যখন আবার আসবে বর্ষা
মেঘ্নার আসবে যোবনের বাহার
এখন মেঘ্নার বুকে কত্না ভসবাস
যে দিন আবার আসবে যাওবন মেঘ্না করবে সব পার

৬৭.আড়ালে অশ্রু

সখী তুমি কোথায় আছো ?
এখনো কি আমায় সে নামে ডাকো ,
যে নাম দিয়েছিলে তুমি
এখনো কি তুমি সেইখানে গিয়ে বস ,
যেখানে বসতাম শুধু তুমি আর আমি

আজ তোমাকে কত মনে পড়ে ,
স্মৃতির   পাতায় অশ্রু শুধু ঝরে ,
তবুও পারিনা ডাকতে তোমায়
বসে বসে ভাবি নিরালায়

আজো কি তুমি বকুলের মালা বানিয়ে রাখো
আমাকে দিবে বলে ,
আজো কি তুমি চুলে বেইনি করে আস
আমাকে দেখাবে বলে ,
তুমি কি আজো পায়ে আলতো কর
আমাকে একটু রাগাবে বলে

আজ তুমি কত দুরে
আমি আছি এই নির্জনে পড়ে
দেখা হবে না জানি আর
তুমি তো চলে গেছো
বুকে জমা দিয়ে স্মৃতিরি  পাহাড়

এখন তুমি কত সুখে,
আমি কাঁদি এই নির্জনে ধুঁকে ধুঁকে
জানি আমি জানি!
তুমি তো দেখতে আসবে না আর
কেননা, তোমার আমার দুরত্ত এপাড় আর ওপাড়

সখি থাকতে চায়না নির্জনে বসে একা,
মন তো বলে করতে তোমার সাথে দেখা,
তুমি তো আসনা ফিরে
আমি তো ডানা ডাঙ্গা পাখি থাকতে হবে এই নীড়ে

যে দিন আমার ডানা হবে
যাবো চলে তোমার কাছে
আকাশে উড়াল দিয়ে
তুমি আমি দুজন আগের মতন
বসবো সেই তীরে

৬৮. আড়ালে অশ্রু-২

পড়িয়াছি প্রেমে বিদিয়াছি কাঁটা
রাখিয়াছি গোপন সেই কথা ,
কখন জানি আসি বলিবে বন্ধু
শুনাও সুর, মুখে নাও বাঁশের বাঁশি ,
তোমারি বাঁশির সুরে যেন মোর
মন করে উদাসী

ধরিয়াছি সুর কত সু-মধুর ,
বন্ধুর মনে লহে যদি
আমারি জন্য একটু ভালবাসা

বারে বারে তাকাই
দেখিতে তো সে না পায়,
আমারি হৃদয় ডাকিতেছে তারে
কাছে পেতে হয়ে আছে ব্যকুল

গাছে গাছে পাখি করে ডাকা-ডাকি,
শুনিতে চায় আমারি বাঁশির সুর
তারে বলি শোন তুমি তো সব জানো
আমাদের ভালবাসা গড়িয়েছে অনেক দূর

চল মোরা যাই সবারে জানাই
আমাদের ভালবাসা পুড়ে হয়েছে ভরপুর
আমারি কথা শুনে, বলিলো সে মনে,
তুমি তো রাখাল ,
দেখ, আমারি কানে দুলিতেছে স্বর্ণের দুল

বুজিলাম আমি করিবো না জানা জানি ,
চাওয়া ছিল হয়তো বেশি ,
ভালবাসা আমার জন্যে হয়তো মস্ত বড় ভুল

৬৯. শুন্য বালুচর

কি হবে আর আশায় বুক বেধে
যখন যাকে আপন ভাবি সে যদি হয় পর
কি হবে আর মিছে মায়ায় থেকে
যখন মনের মানুষ
স্বপ্ন দ্যাখে বাধিবে অন্যের ঘর

কি হবে রেখে এত ভালবাসা
যখন মনের বন্ধুটি সাজিয়ে দিয়েছে
তারি রুপের মাধুরী দিয়ে অন্যের বাসর

কি হবে আর মিছে স্বপ্ন দেখে
যখন ভালবাসার মানুষ মুহূর্তে হয়ে গেছে পর
কি হবে আর হাত বাড়িয়ে
যখন তারি হাত ধরে চলেছে অন্য পথিক
আমারি নদীতে পরেছে চর

কি হবে আর আশায় থেকে
যখন তারি মনের গহিনে জ্বালিয়েছে অন্য প্রদীপ
আমি তো হয়েগেছি পর
কি হবে আর মিছে মায়ায় থেকে
যখন আমারি নদী শুন্য এখন ধু-ধু বালুচর

৭০.শুন্য বালুচর-২

যাকে ভাবি আপনসেই দূরে সরে যায়
আমারি খেলা ঘরে স্মৃতি রেখে যায়
একটু খানি ধরবো বলে হাতটা বারাই
কাছে গিয়ে একি দেখি!  পাশে কেহ নাই 
বারে বারে আসি ফিরে  পিছু নাহি চাই,
মরিচিকা হয়ে কেন আমাকে কাঁদায় ?

যখনি বাঁধি বুকে আশা ,
কোথা থেকে ঝড় এসে করে নিরাশা
আমারি চলার পথে এ কেমন বিধির কাঁটা !
পায়ের তলায় ছিদ্র করল ,
অথচ, রক্তের নাহি কোন আঠা

অনেক আশায় বুক বেঁধেছি ভালবাসবো বলে
তবে কেন যে আসেসে যায় চলে
নিষ্ঠুরের মত কিছু নাহি বলে

৭১. দিলেম চিঠি

দিলেম আমি উড়িয়ে  পাখি ঐ খোলা আকাশে
যাবে পাখি মনে রেখ , তোমারি কাছে
তোমার জন্য রেখেছি যে ভালবাসা
আজ দিলেম তোমায় , নিয়ো তোমার হৃদয় পিঞ্জরে

ভাজ খুলে পড়বে চিঠি , দিয়েছি পাখির গলে
একটা তুমি দিও বলি, থাকে যেন পাখির গলে
আজ রাত শুধু তোমার জন্য রাখিও সেটা মনে
তোমার জন্য আমার হৃদয় বসিয়ে রেখেছি নির্জনে

জোছনা রাতের  তারা দুজন দেখবো বসে একা
ভালবাসার চক্ষু খুলে বলবো মনের কথা
দক্ষিনের জানালা খোলা রেখেছি , জোছনা আসবে বলে
তুমি আমি দুজন চলে যাবো জোছনার কোলে ঢলে

ফুলের পাপড়ি বিছিয়ে রেখেছি ,গন্ধ ছড়াবে বলে ,
ভালবাসায় দুজন কুটির হয়ে, যাবো অন্য গ্রহে চলে
তোমার আমার প্রেম বিনিময় চলবে ধীরে ধীরে,
রাত্রি শেষের নিশির ভেসে আসবো আবার ফিরে

৭২. আমার বাবা

আমি আমার বাবাকে ভালবাসি,
তায় তো বাবার কাছে বারেবারে ফিরে আসি,
বাবা তুমি তো জান,
আমি তোমায় কত ভালবাসি ?

হৃদয়ে  আমার অশ্রু ঝড়ে,
বাবা যখন থাকেনা ঘরে
, ছোট্ট বেলা বসে কাঁদতাম,
মা যখন রাগ করতো মোরে

মনে মনে বলতাম কত কথা,
বাবা আসলে বলব তারে,
মা শুধু আমায় মারে

বাবা আমার ভারি ভাল,
এক বলাতে আদর করে
শুনত যখন আমার কথা,
রাগ কত সামনে  মারে,
আমি তখন মজা পেতাম বকত যখন বাবা মারে

আজ বাবা নেই পাশে ,আমি আছি দূর দেশে,
বসে বসে গুমরে কাঁদি
বাবা, ও বাবা!
তোমায়  কত ভালোবাসি

৭৩. নীরব মন

নীরব মনে ভাবি  আমি
আসবে কি সে তুমি
এই গোধূলী বেলায়,

পাখি ওড়া শব্দ কানে কানে বলে
বসে রবে  কাহার লাই ,
শূন্য তোমার মন
খূজে নাও অন্য জন

যে যাবার সে চলিয়া গেছে
ভাবে কি তোমার পাগল মন?
তুমিতো নও কোন শূন্যের পুতুল ,
নওবা কোন খেলনা ,
তবে কেন তুমি আজ এত পাগল লোকমুখে বলনা

৭৪. শুন্য হৃদয়

শুন্যতা আমি তোমার সাথে বলি কথা ,
শুন্যতা আমি তোমাকে বুকে নিয়ে,
সয়ে আছি ব্যথা

আমি তোমাকে নিয়ে ভাবি,
আমি তোমারি কাঁদি ,
তোমারি জন্য আমার জীবন হল নীরবদি

তুমি দেখছোনা আমায়?
আমিতো আমার নয় তা তুমি জান ,
আমি তো আমার নয় সেটাও তুমি মান,
তবে কেন দাও এসে অসয্য ব্যথা ?

শুন্যতা তুমি আমার সঙ্গী ,
তবে কেন করনা আমার সাথে সন্ধি ?
আমি কি তোমার নয় বলি অন্যকারো কথা

শুন্যতা তুমি চুপ করে থেকোনা,
বল আমার সাথে একটু কথা ,
আমার হৃদয় তোমাকে দিয়েছি,
ছুঁড়ে ফেলেছি অন্যজনের কথা

শুন্যতা আমি না কেমন  হয়ে গিয়েছি,
সবসময় তোমাকে নিয়ে ভাবি ,
তুমি তো বলনা কথা

বুঝেছি আমার হৃদয় শুন্য এখন
তোমার জন্য জমে আছে ব্যথা

৭৫. শুন্য হৃদয়-২

এই রাস্তা ধরে চলে গেছ তুমি,
তায় দাড়িয়ে আছি
এই রাস্তায় লেগে আছে
তোমার পায়ের ছাপ
তায় নীরবে তাকিয়ে থাকি 

যদি তুমি আস ফিরে
দিতে পারিবেনা আর ফাঁকি
দক্ষিনের জানালা খুলে চলে গেলে
করে ছিলাম কত ডাকাডাকি

আজো আমি দাড়িয়ে আছি,
দক্ষিনের জানালা খোলা রেখে
তুমি যে পথে চলে গেছসে পথের মাঝখানে
তোমারি জন্য হয়ে আছে মন ব্যকুল ,
চোখের পলক ফেলিনি তাই,
তোমাকে এক পলক দেখবো বলে

৭৬. স্বাধীনতা তুমি নিয়েছ সব কেড়ে

শুধু তোমাকে মনে পড়ে আজ বেশি
মনে পরে তোমার সেই হাসি
যার জন্য বারে বারে ফিরে আসি
এ কেমন হাসি!
যে হাসি কাদায় আবার হাসায়
মন করে উদাসী ,
দেখেছি কত জনকে তবুও
মন চায় তোমার মন কে ভালোবাসি

প্রেয়সী তুমি থেকো আমারি জন্যে,
আমি তোমার জন্যে নিয়ে আসবো
ছোট্ট একটি ডিংগা,
যার চূড়ায় বসে তুমি প্রেমের দোল খাবে,
বাতাস তোমাকে বলে যাবে
আমার না বলা কথা

তোমাকে রাঙ্গিয়ে যাবে আমার অযান্তে
তুমি শুধু আমারি পথ চেয়ে বসে রবে,
আমার আসার আর বেশি সময় নেই
আর কটাদিন বাকি

তোমাকে দেখার বড় ইচ্ছে আমার
তুমি কেমন আছো?
তাও বলার সময় পাইনা,
কি করবো বলো, কত কাজ বাকি,
একদিকে হানাদার আর অন্যদিকে রাজাকার পাটি
তারা কিছুতে আসতে দিচ্ছেনা ,
তুমিতো জানো তারা আমাদের
এইদেশকে ধবংস করতে চায়

আমাদের কে তারা নাকি
থাকতে দিবেনা আমাদের এই গাঁয়

তারা কেন এমন করছে ?
তারা কি চায় ?

জান মাঝে মাঝে
আমার সবকিছু লন্ডবন্ড করে দিতে মন চায়
কিন্তু কি ভাবে?
তারাতো সংখায় অনেক

তাদের আছে গোলাভরা বারুদ
যার সামনে আমাদের দারাবার,
শক্তি অনেক দুরবল

তুমি দেখো আমরাই জয়ী হবো
কেননা আমাদের মাঝে আছে অযস্র ভালোবাসা,
যে ভালোবাসা শুধু তোমাদেরি জন্যে

শ্ত্রুরা যতই হোক শক্তিশালী
আমাদের আছে ভালোবাসার শক্তি,
যে শক্তি আমাদের কে দিবে,
একদিন মুক্তি

আমারা নইকো দুরবল
আমাদের এই মাতৃ-ভুমি অঘাত সম্বল

আমি জানি তুমি নিয়ে আছো,
আমার জন্যে অনেক ভালোবাসা
হায় এ কি হল!
কিসের শব্দ আসে ?
প্রেয়সী আমাকে যেতে হবে ডাক পরেছে ঐ গায় ,
জানিনা মাঝে মাঝে,
কিসের সব্দ শুনা যায়
একি ! একি!!  সবাই কাদছে কেন ?
প্রেয়সী, ভালথেকো তুমি
আমি চলে যাই

আজ আমি ক্লান্ত,
আমার এ দেশ হলো শান্ত,
বাড়ি ফেরাদায়

গাজীরা আমি আসি
আমার সময় বয়ে যায়,
প্রেয়সী আমার বসে আছে  ছোট্ট সেই গাঁয়
হায়রে দেশ হায়রে মাটি ,তুই যে আমার কাছে
সোঁনার চাইতেও খাঁটি
আজ মনে কত আশা
প্রেয়সীর মনে বাদবো নতুন বাসা
বাড়িতে কারো শব্দ নেই কেন ?
কোথায় গেল সবাই ?
মা, মা, মা, বাবা, বাবা,
চারদিকে খুঁজি
কি হল,
সবাই আমার ওপর রাগ-করলো  বুজি

মা, মা, বাবা!
ওরা তোমাদের কে ও বাচতে দিলনা বুজি ,
প্রেয়সী তুমি ও চলে গেলে আমাকে ছেরে
তোমাদের ছেরে কি ভাবে থাকবো আমি
দেখলেনা একবারো ভেবে ?

ঝুলে আছে লাশ
নিরব তাদের মন, মনে হ্য় আমাকে কিছু
বতে চাচ্ছে আমার মা
মা, মাগো! মা!!
আমাকে একটু বুকে টেনে নাওনা
আমি আজ কত ক্লান্ত
তুমি তাকিয়ে দেখ আমরা আজ স্বাধীন
মা, মাগো, মা
তোমাদের আর পালিয়ে থাকতে হবেনা
আমরা পেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা

প্রেয়সী তুমি ও কি মা আর বাবার মত,
রাগ করলে নাকি?


৭৭. আমার গ্রাম
আমার ছোট্ট একটি গ্রাম
যেখানে আমার বড় হওয়া, এক পথে চলা
ছোট ছোট করে কথা বলা
ছোট্ট পা গুলো দিয়ে পথ চলা

সবি যেন এখন স্মৃতি
কেননা আমি দিয়েছি আমার শৈসবকে ইতি
করেছিলাম কত খেলা
কাটিয়ে দিতাম সারা বেলা
মা বাবা খুজে বেরাত
বলত এ কি  জ্বালা

খুজে এনে ঘরে নিয়ে জুলিয়ে দিত তালা ,
দাদি আমার বড়ই ভাল
খুলে দিত তালা
বাবা এলে বলত গিয়ে তোর ছেলে অনেক ভালা ,
বসে বসে শুনিয়ে ছিলো
কত পুতির পালা

৭৮. অপেক্ষা

জানালার পাশে বসে থাকি আমি
দেখবো তমায় বলে ,
কত কথা আসে মোর হৃদয়ে
আবার যায় যে চলে

ফুলের সুভাস দেব তোমাকে
আসো যদি এই মনে,
জমানো কথা গুলো
বলবো তোমাকে বসে নির্জনে

ভরা  যৌবন মোর মানেনা তো আর
কেটে যায় দিন গোপনে,
এ জীবন মোর চলে নাতো আর
আসো তুমি সয়নে

যৌবন ব্জালা বড় ব্জালা রাখিবো কেমনে ,
তোমার সুধা পেতে মন মোর
চায় যে মনেপ্রানে


৭৯. আজো আমি বসে একা

হাটিতে ছিলুম রাস্তা ধরে
শুধু তোমাকে দেখবো বলে,
অনেক অপেক্ষা করে ছিলুম ,
কিছুক্ষণ দারিয়ে ছিলুম
মাঝে মাঝে বাতাসের মাঝে
দু হাত বাড়িয়ে ছিলুম
কিন্তু কেন জানি আমার ডাকে সাড়া দিলোনা ,
উত্তর খুঁজতে গিয়ে,
কিছুই পেলুম না
তবুও কেন জানি দারিয়ে থাকতে
মন বলেছিলো,
মনকে কিছু বলতে পারলুম না ,
কেননা মনের মাঝে তোমার ছবি দেখেছিলুম
বুঝে ছিলুম ভালোবেসে ছিলুম তোমায় ;


৮০. শুন্য হৃদয়

আজ নিজেকে কেন জানি
শুন্য মনে হয়
আজ নিজেকে কেন জানি
ক্লান্ত মনে হয়
কেননা কল্পনা গুলো আবার নারা দিয়ে
আমাকে পিছু ডাকছে ,
আমার সাথে সাথে একসাথে হাটছে
আমাকে কি যেন বলার চেষ্টা করছে ,
কিন্তু কি করি
আমিতো সবকিছুকে পিছু ফেলে এসেছি
শুন্য হৃদয় আমার নিত্তদিনের সঙ্গী
আমি আর যেতে চাইনা সে খানে,
যে খানে আমার শৈশব কেঁদেছে
যেখানে আমার হৃদয় পুড়েছে
আমাকে করেছে শুন্য
কেরে নিয়েছে আমার হৃদয়ের অন্ন
আমি কেমন করে তাকাবো ?
আমার হৃদয়ে ভরে আছে আহাকার
যার মাঝে দুবে আছি আমি
চারদিকে আজ শুধু অন্ধকার ,
যা আমার নিত্তদিনের সঙ্গি
আমি তো হয়ে আছি তারি মাঝে বন্দি

কে করিবে আজ,
কে করিবে আমার সাথে সন্ধি 
হৃদয় আমার লোহার  খাছায়
শুন্য মনে বন্দী

৮১. আমার খোকারাগ করেছে

আমার আদরের ছেলে খোকা,
ওকে দেখে আমার অতীত কে বুলে থাকি,
ওকে দেখে আমি নতুন কিছু দেখি

ওর বাবা গেল সেই ভাষা আন্দলনে
আর ফিরে আসলো না ,
অনেক খুঁজে ছিলাম, ঢাকার অলি গলিতে ,
পাওয়া গেলনা

অবশেষে তাকালাম তার আর আমার স্মৃতির দিকে
আমার ছেলে খোকা
আমার স্বামীর আশা ,
খোকা কে নিয়ে আমার সামীর অনেক আশা
আমাদের খোকা  একদিন বড় হবে,
সবাই তাকে মানবে, তাকে নিয়ে লিখবে অনেক কবিতা ,
অনেক গল্প লিখবে অনেক গান,
যা দেখে জুরাবে আমাদের প্রান

কেন জানি খোকা আজ
আমার সাথে করলো রাগ ,
খোকার সে হাসি আর কেন দেখিনা  ?
আমার খোকা তো যুদ্ধে গেল
আসবে আবার ফিরে ,
তবে কেন আসছেনা ?

তার জন্যে বসে আছি আমি
এতা সেটা আরো কত কিছু নিয়ে দামী দামী


৮২. ৭১ রে আমি

আমার এ মাটি দিশনে তোরা ফেলে ,
আমার এ মাটি মাখিয়াছি তাজা জলে
আমার এ জল মিশেনা অন্য জলে ,
আমার জল মাঝে মাঝে কি যে বলে

আমাকে তোরা যতই বলিশ চলে যেতে ,
এই মাটি আমার মিশে আছে নিঃশ্বাসে 
যতই তোরা চালাবি গুলি
আমার মুখে থাকবে বুলি ,
বাংলা মিশে আছে গাঁ তে,
আমি যে বাংলার সূয্য দেখেছি প্রভাতে

আগাতে আগাতে মারবি যদি আমায় মার!
তবুও বলি বাংলা আমার বুলি
কেরে নিবি কে, সাহস আছে কার ?

আমিতো বাংলার
বাংলা আমার বুলি আসবে বারেবার
আমি তো বাঙ্গালি ,
বাংলা আমার গালি মুখে শুনবি বারেবার,
তোদের মুখে মানাবেনা গালি তোরাতো রাযাকার

৮৩. জানা থেকে শেখা

আমি যুদ্ধ দেখেনি
তবুও মনে হয় দেখেছি,
আমি যুদ্ধ করিনি
তবুও মনে হয় করেছি

আমি বাহিনী দেখেনি
তবুও মনে হয় দেখেছি,
আমি কবিতা লিখিনি
কেন জানি আজ লিখেছি

আমি হাসতে জানিনি
তবুও হাসতে পেরেছি,
আমি কাঁদতে জানিনি
তবুও কেঁদেছি

আমি বলতে জানিনি কোন কথা
বলতে শিখেছি,
আমি জানতে চাইনি কোন স্মৃতি
তবুও জেনেছি

৮৫. ভুলে ভুলে অপমান

যদি সত্য হয় আমারি ভালবাসা,
তবে কি তুমি পারবে ফিরিয়ে দিতে,
আমারি সেই অপমানের খতা
যেখানে তুমি লিখে দিয়েছ
তোমারি মনের অজান্তে , না বলা কিছু কথা

যদি সত্যি হয় আমারি ভালবাসা
তবে কি পারবে ফিরে আসতে
আমারি হাত ধরে ভুলে সব ব্যথা

যদি সত্য হয় আমারি ভালবাসা
তবে কি পারবে আমাকে আপন করে নিতে
নতুন করে ভাবতে গড়তে জীবনের ধারা
যদি সত্য হয় আমারি ভালবাসা
তবে তুমি পারবে এই আমার দৃঢ় প্রত্যাশা

৮৬. আমি আর আগের মত নেই

আজ নিজেকে অনেক ভাবনাময় মনে হল
কেননা প্রথম বারের মত
বাবার মুখে শুনলাম আমার বড় হবার কথা

আমাকে নাকি আর কেঊ একা দেখতে চায়না ,
সবাই আমার নতুন জীবনের কথা ভাবে
কিন্তু কেন?
আমার বাবাতো আগে কখনো এ ভাবে বলেনি ?
আমার সকল চাওয়া আমার বাবাইতো দিতে প্রস্তুত
তবে কেন তার মুখে এ কথা ?
আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না
বুঝলাম বাবাই মনে হয়
আমার ওপর রেগে আছে
যাক পরে ঠিক হয়ে যাবে ,

৮৭. তুমি বলেছিলে

তুমি বলেছিলে আসবে ফিরে লাল শাড়ী পড়ে
তুমি বলে ছিলে আসবে ফিরে গায়ের পথটি ধরে
তুমি বলে ছিলে রাস্তার মোড়ে থাকতে একা বসে
তুমি বলে ছিলে করবে দেখা গোধুলি সন্ধ্যায় একা

তুমি বলে ছিলে আসুক যত কষ্টে ভরা দিন ,
দিনের শেষে যদি সন্ধ্যা আসে
তেমনি আসবে সু-দিন

তুমি বলে ছিলে ভালবাসায় হবে হাজারো সংঘাত,
যেমন করেছিল হেলেনের জন্য রাজ্য হয়ে ছিল ছাপ
তুমি বলেছিলে সূর্য যদি দিতে পারে এসে আলো
তবে কেন আমি আসবোনা দেখতে
বাসবো না তোমায় ভালো

তুমি বলেছিলে যতই আসুক ঝড় বিষ্টি বন্যা
তোমার আমার ভালবাসা থাকবে অটুট
ঝড়ে যদিও রক্তের বন্যা

৮৮. তুমি পারতে

তোমার একটু হাসি
ভুলাতে পারে আমার সকল আভিমান
তোমার একটু চলায়
নিতে পারি আমি পিছু টান

তুমি হাত বারালে
ভুলতে পারি আমি সব অভিমান
তুমি এক বার ডাকলে
ডাকতে পারি তোমায় হাজার বার

আমি হইতো ভুল করেছি মিথ্যে অভিমানে
তুমি তো পারোনাআমাকে ছেরে চলে যেতে
জানাতে জনে জনে

৮৯. এসো খোঁপা বেদে দেই

তোমারি ঐ কাল চুলে, এসো খোঁপা বেদে দেই,
যেন সাদা গোলাপটি দিতে পারি ঐ চুলের ভাজে
তোমারি খোপায় এসো বকুল ফুলের মালা দিয়ে দেই
যেন গোলাপের মাঝে ফুটে তোলে ,
রুপের মাঝে ঝলসে উঠে যেমন ফুলের পরশ

বাতাসে দিকে মুখ করে তুমি আমি দুজন বসবো
সেই দিঘির পাড়ে যেখানে তোমার আমার কেটে ছিল
ভালবাসার কিছু সময় , তুমি কত ভয় পেতে আমায়
তার পরে ও জয় করেছি তোমার হৃদয়

আজ আমাদের জীবনে কত সুখ
দুঃখ যা ছিল মনে হয় শেষ করেছি
শৈশবের দিঘির পানিতে সাঁতারকেটে
এই পূর্ণিমা রাতে এসে বস আমারি পাশে
তোমার ঐ কেশে খোঁপা বেদে দেই

৯০. বসন্ত
এসেছে নতুন দিন সাজাও তোমারা তারে
হাজারো গোলাপ আর কৃষ্ণচুড়ার ডালে  
কতনা আশা তার হৃদয়েরী মাঝে 
সাজবে আবার স্মৃতির কোলে
মাতিয়ে দিক হায়রে

জাগাবে নতুন স্বপ্ন
তুলবে এক অমুল্য রত্ন
স্বজনের ডালে মেলবে পাখা
আনবে এক নতুন শাখা
পাখির ডাকে বসবে মেলা
মাতিয়ে তুলবে সারাবেলা

দিনের শেষে জাগাবে স্মৃতি
তুলে দিয়ে সকল আকুতি
সবাই বলবে একই সাথে
দিনতো যাবে সুখের সাথে
নতুন দিনের আগমন
তায়তো তোমায় স্বাগতম

স্বাধীন চেতনা
- মোঃ খোরশেদ আলম
স্বাধীনতা, তোমাকে খুঁজি সকালের ভেজা রোদে   
কুয়াশায় ঢাকা কোন এক ভোরে । 
স্বাধীনতা তোমাকে খুঁজি ঘুমের ঘরে 
হাতে নিয়ে রক্তিম পাতাকা । 

স্বাধীনতা, কোন এক বিকেলে 
পতাকা হাতে বাতাসের সাথে 
খোলা মাঠের ভেতর দৌড়ে দৌড়ে 
চলেছিলাম মুক্ত মনে 
অনুভবে ছোঁবো বলে তোমাকে।   

স্বাধীনতা, তোমাকে খুঁজি মুক্ত মনে 
মায়ের শাড়ীর আঁচলে , 
ঘুরে ফিরে এসে যেমনি করে ছোট্ট শিশুটি 
এসে বসে মহীয়সী মায়ের কোলে , 
ঠিক তেমনি করে । 

স্বাধীনতা, তোমাকে খুঁজি   
এপথ থেকে ওপথে, 
পিপাসিত মনে চলতে চলতে 
কোন এক অজানা পথিকের রূপ ধরে ।   

স্বাধীনতা, তোমাকে খুঁজি  তখনি 
যখনি আসে পাখি ডাকা ভোর 
চারদিকে মুখরিত থাকে 
সোনালী রোদের আলো, ঠিক তখনি । 

স্বাধীনতা, তোমাকে খুঁজি  ভরা রৌদ্র দুপুরে 
হেটে চলা কোন এক বাঊলের একতারার সুরে, 
যার গানে বাজে তোমার বীণ 
স্বাধীনতা তুমি স্বাধীনতা । 

স্বাধীনতা, কিষাণের হাসি মুখে খুঁজি তোমায়,   
খুঁজে পাই  মসজিদে মুয়াজ্জিনের আযানের সুরে । 
স্বাধীনতা তোমাকে খুঁজি তখনি 
যখনি ভেসে আসে 
কোন এক গাছতলা থেকে রাখালের বাশির সুর । 
মধুর সুরে বলছে রাখাল  স্বাধীনতা তুমি স্বাধীনতা 
লাগছে সু-মধুর।

একটা দেশ চাই
- মোঃ খোরশেদ আলম
একটা দেশ চাই, দিয়ে দাও আমায় সে দেশ । 
যে দেশে আছে শহীদের মীনার ,   
সেই দেশ চাই আমায় দিয়ে দাও । 
যে দেশে চলে অবিরাম সুখের সুর 
দিয়ে দাও আমায় সে দেশ । 

আমি গাইবো কোকিলের মত গান 
গানের সুরে সুরে তুলবো আমার সেই দেশের বর্ণনা , 
যেখানে ছিল বীর সন্তান শেখ মজিবুর রহমান । 
যার কন্ঠ ধ্বনি এখনো ভাসছে আকাশে বাতাসে 
যার কথা শুনে এসেছিল 
কতনা ছেলে মায়ের বুক খালি করে 
যুদ্ধ করবে বলে , আমি চাই সে দেশ ! 
দিয়ে দাও আমায় দিয়ে দাও । 

আমি চাই সে বাংলা 
যে বাংলার জন্য পিছপা হয়নি মাওলানা ভাসানি   
যার কথায় ভাসতো আগুনের কুণ্ডলী 
মনে হত চলছে বন্ধুকের গুলি , 
আমি চাই সে বাংলা 
দিয়ে দাও আমায় দিয়ে দাও । 

আমায় দিয়ে দাও সে দেশ,   
যে দেশে আছে বাংলার বাঘ 
শে-রে-বাংলা এ কে ফজলুল হক 
আমি চাই তাঁরি বাংলা,   
দিয়ে দাও আমায় দিয়ে দাও । 

আমি হতে চাই সেই বাংলার ছেলে 
যে বাংলার জন্য প্রাণ দিয়ে শত শত, 
বন্ধি হয়েছিল জেলে কতনা মায়ের ছেলে  । 
আমি হতে চাই সেই বাংলার ছেলে , 
সেই বাংলার ছেলে, সেই বাংলার ছেলে ।

মাতৃভূমি
- মোঃ খোরশেদ আলম
মাতৃভূমি তোমার পদতলে আমি, 
তোমার জন্য ফিরে চলে আসি 
মনে পড়লে থকিনা আমার মাঝে আমি । 
তুমি যে আমার হৃদয়ের শুধা 
তোমারি হাওয়া গাঁয়ে লাগলে 
চলে যায় আমার ক্ষনিকের ক্ষুধা , 
শুনি বসে ভরা দুপুরে পাখির কলকলানি । 

এত সুন্দর কোকিলের ডাক শুনি নাই কোথাও আগে   
আমারি শব্দ শুনে বুজি কোকিল কুহু কুহু বলে ডাকে । 
ফিরে পাই কত সুখ, যখন কোকিলের সাড়া আসে,   
সারা শরীরে শিহরিত হয়ে আনন্দের জল চোখে ভাসে । 

এত সুন্দর ভূমি, আমি ফেলে ছিলাম বুঝি একা ,   
ইট বালি আর সিমেন্টের বন্ধী ঘরে চলে ছিলো কত কথা।   
কিছু মনে নাহি, মনে আছে তবে   
আমার শৈশবের সেই কথা । 

সারা গাঁয়ে আমার লেগে থাকতো কত ধূলা বালি 
বাড়ি আসলে শুনতে হতো মায়ের শুকনো গালালি ।   
তবুও থাকতো ধুলো মাখা শরীর  যতই করিত সাফ 
বাবার সামনে পড়লে পেয়ে যেতাম তখন মায়ের হাত থেকে মাফ। 

তবে বলো তোমাকে ফেলে আমি কি থাকতে পারি ? 
শহরের সেই অট্টালিকার বাড়ি।   
তায় চলে এসেছি আবার আগের মতন 
তোমার ধুলো গাঁয়ে লাগাতে, কোকিলের কন্ঠে গান শুনতে 
এ পথ থেকে ও পথে ঘুরে বেড়াতে। 

এখন আর করবেনা শাসন 
বলবেনা কেহো ধুলো মেখে বাড়ি এলি? 
যে বলতো সেতো আমাদের রেখে গেছে চলি ।

সাবাস বাংলা বাঘ
- মোঃ খোরশেদ আলম
ভয় কিসের , করিনা ভয় ! 
গর্জেছে বাংলার দামাল ছেলেরা ,   
যত টুকুছিল ভয় করেছে জয় 
৭১ রে প্রমান মেলে । 

এখন আমাদের রুখে দারাবার সময় 
পরোয়া করবো কিসের ? 
আমরা বাংলার বাঘ! 
সময় এসেছে আমাদের, তাই করেছি গর্জন । 
হায়েনাদের মুখে তাক লেগেছে , 
শুকিয়ে গেছে দেহ মন । 

এতদিন বাঘ গর্জেছে বনে 
আজ বনে নয়, গর্জন মনে প্রাণে,       
কোথা দিয়ে আসবে খাবার, 
শিকার করতে জানে ।

 বেগম রোকেয়া তুমি এসেছ আবার
- মোঃ খোরশেদ আলম
রেখে গেছো অধিকার, 
স্মরণ করতে তোমাকে, কি করে ভুলি ? 
তোমারি দেখানো পথে 
যে আমরা লক্ষ কোটি নারী চলি । 
যে হাত ছিল মোদের বন্দী, 
তোমারি কারনে আজ পেয়েছি নতুন কিছু , 
খুঁজতে শিখেছি জীবনের সন্ধি । 

যে হাতে ছিল মোদের লোহার শিকলে , 
তোমারি কারনে আজ পেয়েছি অধিকার , 
ভেঙ্গেছি বন্দীশালা । 
তুমি করেছ মহান, 
নতুবা নারী জাতি এখনও কাঁদত শিকলে পড়ে 
অকারণে হারাত নিজের প্রাণ । 

তুমি হয়ে আছো অমর এই পৃথিবীতে 
এখনো তোমাকে প্রতিবাদী কন্ঠ ডাকে 
ফিরে আস বলে বারে বার ।

আর কত কাল
- মোঃ খোরশেদ আলম
আমরা যে সাধারণ জনতা 
খেঁটে খুঁটে খাই , কেউবা এখানে ওখানে 
কেউবা পেটের দায়ে রিক্সা চালায় ।   

বাঁচতে তো হবে, 
আমি না হয় পারবো , 
যারা আমার দিকে তাকিয়ে আছে , 
তাদের কি হবে তবে ? 

আমি দিতে পারি বালিশ চাপা , 
যে শিশুটি নতুন এসেছে আমার ঘরে     
একটু কি ভেবেছো , 
আমার আদরের শিশুটি বাঁচবে কেমন করে ? 

যখনি আসি ঘর ছেড়ে, 
মৃত্যুকে পুটলি ভরে আনি সঙ্গে করে , 
তোমরা চাইলে দিয়ে দেব বলে । 
আমি নাকি বাস করি স্বাধীনতার স্বাধীন দেশে! 
আছে কি স্বাধীনতা, 
বলো আছে আমাদের স্বাধীনতা ?   
জানি বলতে পারবেনা , 
তোমরা ও যে আমার মতো সাধারণ আম জনতা ।   

আমরা রাজার শাসিত নয় 
তার পরেও আজ আমরা প্রজা ! 
একটু ভেবে দেখো, 
উত্তর পেতে হবে সোজা । 

আমরা চাই সেই স্বাধীনতা 
যে স্বাধীনতার জন্য মুজিব থেকে ছিল জেলে,   
পথে ঘাটে নেমে এসেছিল সাধারণ জনতা 
হিন্দু মুসলিম বোদ্ধ  খ্রিষ্টান জাপিয়ে পড়ে ছিলো 
স্বাধীনতার ডাক এসেছিল বলে । 

যে স্বাধীনতার জন্য ঝরে ছিল প্রতিশোধের অশ্রু   
প্রেমীক বন্ধ করেছিল স্মৃতির পাতা 
আমরা চাই সেই স্বাধীনতা ! 
দিয়ে দাও , আমায় দিয়ে দাও 
আমাদের সেই স্বাধীনতা ।

মাগো তোমার ছেলেরা
- মোঃ খোরশেদ আলম
মাগো তোমার ছেলেরা  আজো জেগেই আছে 
মাগো তোমার ছেলেরা দেখো সুর তুলেছে 
সারা দেশে দেখো মা ধ্বনি উঠেছে 
জয় বাংলার জয় । 

মাগো দেখো সকালের সূর্য আজ কত সুন্দর 
চারদিকে দেখো আলো 
তোমার ছেলেরা প্রমান দিয়েছে তুমি কত ভাল । 

মাগো তোমার ছেলেরা তোমার জন্য 
রাখতে পারে জীবন বাজি, 
তোমারি হুকুমে দাড়িয়ে আছে 
মানতে সদা রাজি ।

২১শে ফেব্রুয়ারি
- মোঃ খোরশেদ আলম
আজ ফেব্রুয়ারির সেই দিনটি , 
যেদিন রাস্তায় নেমে এসেছিল 
শত শত দামাল ছেলেরা,   
ভাষার দাবি ছিনিয়ে নিবে বলে   
দিয়েছিল তাঁদের প্রাণ । 

আজ সেই দিনটি যে দিনে ঘরে ফিরেনি 
রফিক শফিক সালাম বরকত জাব্বার আরো অনেকে , 
যে দিন লাখো কন্ঠে বেজে উঠেছিল 
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই । 

আজ সে দিন , আজ সে দিন যে দিন বসেছিল মা!   
ছেলের জন্য বানিয়ে নিজের হাতে জামা , 
উপহার দেবে বলে  ছেলেকে । 
আজো দ্যাখা পায়নি সেই ছেলের   
বসে আছে অপেক্ষার প্রহর গুণে।   

এই দিন সেই দিন 
যে দিন পশ্চিম-পাকিস্তান  মেনে নিয়েছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলা 
আমরা পেয়েছিলাম মাতৃ কথা । 
যে দিন ঘরে ঘরে বেজেছিল একটি গান 
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি । 
আজ সেই দিন , আজ সেই দিন , আজ সেই দিন ।

বাংলার গুণে
- মোঃ খোরশেদ আলম
যে দেশের মাঝে আছে ভালবাসা 
সে আমার বাংলা দেশ । 
যে দেশ হাসতে জানে 
ভুলতে পারে অতিতের ব্যথা   
সে আমার বাংলা দেশ। 

পাবে কি তুমি বল পাবে, আমার দেশের মত দেশ ? 
রুপে গুণে অপরূপা গুনের নাইকো শেষ । 
পাবেনা তুমি পাবেনা, আমার এই দেশের মত দেশ  । 
নদীরই বুকে অবিরাম চলে নৌকা 
মাঝির কন্ঠে বাহ কি বেশ ।   

সকালের সূর্য পূব আকাশে দেখায় কত ভাল 
সূর্যের আলোতে নদীরই পানি করে টলমল । 
মাঝে মাঝে বকের সাড়ি আসে কোথা থেকে 
সকালের আনন্দ কাটে আমার খেলা দেখে দেখে ।

এ কেমন বাংলা
- মোঃ খোরশেদ আলম
আজ বাংলার বুকে সূর্য নাহি 
মিটির মিটির আলো । 
আজ বাংলার মাটি নীরব কেন 
ফসলের মাঠ কালো। 

আজ কিষাণের মুখে হাসি নাহি 
ফসল হবেনা বলে ভালো । 
আজ আকাশ কেন থমকে আছে 
বাড়ী বাড়ী জ্বলছে আলো । 

আজ দিনটি কেন এত বড় 
আসেনা রাতের আঁধার 
আজ বাংলার বুকে আহাজারি 
কেন বলছে আগুন জ্বালো । 

আজ শত্রু মিত্র বন্ধু হয়েছে 
আমরা সবাই ভালো ।

বাংলা মা
- মোঃ খোরশেদ আলম
আমার ছেলেরা গেল সেই বায়ান্ন ভাষা আন্দোলনে , 
আজো ফিরে এলোনা । 
বসে আছি অপেক্ষার প্রহর গুনে 
ঘরের সামনে লিখে রেখেছি আল্পনা । 

আমার ছেলেরা যদি আসে 
আমি বুঝতে পারবো তখন 
যখন দেখবো আল্পনাতে লেগে আছে   
আমারি ছেলেদের পায়ের ছাপ । 

নতুন ধানের খৈ করে রেখেছি সাথে খেজুরের মিঠাই , 
ক্লান্ত ছেলেদের খাওয়াবো বলে। 
আমারি ছেলেরা কত পথ অতিক্রম করে 
আসবে আমার কাছে , 
মায়ের একটু আদর নিবে বলে । 

আমি কি পারি বসে থাকতে ? 
আমি যে তাদের মা । 
মায়ের মন শক্ত বাঁধন , 
হাজারো আঘাতে হয়না ক্ষতবিক্ষত । 

হঠাৎ পায়ের আওয়াজ ভেসে আসলো কানে 
কিসের আওয়াজ ? 
আমার ছেলেরা আসলো বুঝি ? 
দাড়া বাবা আমি আসছি ! 

দরজা খুলে দেখল কিছু নাই কিছু নাই , 
লেগে আছে পায়ের ছাপ । 
করুণ কন্ঠে কহিল মা , 
বাবা তোরা এলি , অথচ আমাকে বলে গেলি না ।

বাংলা মা
- মোঃ খোরশেদ আলম
আমার ছেলেরা গেল সেই বায়ান্ন ভাষা আন্দোলনে , 
আজো ফিরে এলোনা । 
বসে আছি অপেক্ষার প্রহর গুনে 
ঘরের সামনে লিখে রেখেছি আল্পনা । 

আমার ছেলেরা যদি আসে 
আমি বুঝতে পারবো তখন 
যখন দেখবো আল্পনাতে লেগে আছে   
আমারি ছেলেদের পায়ের ছাপ । 

নতুন ধানের খৈ করে রেখেছি সাথে খেজুরের মিঠাই , 
ক্লান্ত ছেলেদের খাওয়াবো বলে। 
আমারি ছেলেরা কত পথ অতিক্রম করে 
আসবে আমার কাছে , 
মায়ের একটু আদর নিবে বলে । 

আমি কি পারি বসে থাকতে ? 
আমি যে তাদের মা । 
মায়ের মন শক্ত বাঁধন , 
হাজারো আঘাতে হয়না ক্ষতবিক্ষত । 

হঠাৎ পায়ের আওয়াজ ভেসে আসলো কানে 
কিসের আওয়াজ ? 
আমার ছেলেরা আসলো বুঝি ? 
দাড়া বাবা আমি আসছি ! 

দরজা খুলে দেখল কিছু নাই কিছু নাই , 
লেগে আছে পায়ের ছাপ । 
করুণ কন্ঠে কহিল মা , 
বাবা তোরা এলি , অথচ আমাকে বলে গেলি না ।

একুশ আমার অহংকার
- মোঃ খোরশেদ আলম
আমারি দেহে যতদিন থাকিবে প্রাণ 
শুধু একটি কথাই থাকিবে , শুধু একটি সুর থাকিবে   
মুখে থাকিবে একটি বুলি , একুশ আমার অহংকার ।   

আমারি গায়ে আজ একটি গেঞ্জি থাকিবে 
যেখানে লেখা রবে রক্তের কালিতে   
বুকেরি মাঝখানে , একুশ আমার অহংকার । 

আমারি হাতে থাকিবে আজ বাংলার পতাকা 
হাতে বাঁধা থাকিবে একটি ফিতা , 
মাথায় ও বাঁধবো সেখানে লেখা রবে একই কথা   
একুশ আমার অহংকার ।   

আমারি হাতে থাকিবে আজ মাইক,   
বুকে থাকিবে বল , মুখে থাকিবে বুলি 
হে একুশ বলো তুমি বলো , তোমাকে কি করে ভুলি ? 
তোমারি জন্যে আজ তুলে নিলাম রং তুলি , 
আঁকতে সেই নামটি, যে নাম আমার মুখের বুলি। 
একুশ, একুশ , একুশ আমার অহংকার ।

মায়ার বাঁশি
- মোঃ খোরশেদ আলম
আমারি দেশ আমারি মায়ার বাঁশি । 
তাই তো পারিনা ছেড়ে যেতে, 
বারে বারে ফিরে আসি । 
আমারি দেশ আমারি চলার পথ , 
তাই তো পারিনা ভুলতে স্কুল জীবন 
মাঠে দাড়িয়ে করে ছিলাম যে সপথ । 

আমারি দেশ আমারি গর্বের ধারা , 
তাই তো উকি মেরে দেখি 
আসিল কি কোন বিন দেশি ? 
কু-মতলব থাকিলে করবো তাদের তাড়া । 

আমারি দেশ আমারি যাদুর বাঁশি 
তাই তো যেখানে থাকি , 
মায়ার টানে উড়ে উড়ে আসি । 
আমারি দেশ আমারি স্বপ্নের বোরাক , 
তাই তো লাগেনা খুঁজতে আলাদিনের যাদুর চেরাগ । 

আমারি দেশের মাটি সব চাইতে  খাঁটি 
তাই তো কিষাণের মুখে দেখতে পাই মধুর হাসি । 
আমারি বাংলা সোনার বাংলা 
আমারি প্রানে ছোট্ট মায়ার বাঁশি ।

চাই স্বাধীনতা
- মোঃ খোরশেদ আলম
শোন হে শোন, আমারি কথা শোন 
তবুও বলি কিছু কথা , মানো নাই বা মানো । 
আমি যে বাঙালি! বাংলা আমার গালি !! 
সেটা তোমরা জানো ।   
আজ আমার গালি ফিরে এসেছে 
ছিটকে পড়েছে মুখে বালি । 

যে বাংলার জন্য আমি দিয়েছিলাম গালি ! 
আজ সে বাংলার বুকে চলছে দালালি । 
আমারি গালালি হয়েছে কি চোরা বালি ? 

আজ চলছে আমাদের মাঝে দন্দ 
মাঝে মাঝে বাতাসে ভেসে আসে 
মানুষ পোড়া গন্ধ । 
শেষ হবে নাকি এই দলাদলি ? 
তবে আমাদের কি হয়েছে পেয়ে স্বাধীনতা   
বলে স্বাধীন বাঙালি । 

যে বাংলার জন্য গড়েছে শহীদ মিনার,   
প্রবাসী দিয়েছিল তাঁর জমানো দিনার । 
আজ পড়ে আছে সেথায় শহীদের মিনার   
সামনে চলছে চোরা বালি  । 

তবে কি আবার সেই শহীদের নাম মুছে 
আসবে নতুন শহীদের গাড়ি । 
দিতে হবে কি নতুন মিনার  ? 

শোনঐ শোনা যাচ্ছে শহীদের গালি   
তাঁরাই ছুঁড়ে মারছে আমাদের দিকে 
ধিক্কার চোরা বালি ,   
আমাদের কে ছাড়তে বলছে জুলুমের দালালি ।

হৃদয়ে কপোতাক্ষ
- মোঃ খোরশেদ আলম
গিয়ে ছিলাম ঐ গাঁয় , 
যেখানে পাখির জাঁক এসে খেলা করে যায়। 
যেখানে কবিরা এসে কবিতা লিখে যায়। 
যেখানের নদী এসে মোহনা হারায়। 
যেখানে  মাইকেল মধুসূধন দত্ত থেকে ছিল 
লিখে ছিল মহা কাব্য । 

আমি গিয়ে ছিলাম  সেই গাঁয় 
দেখবো বলে , বাংলার  সনেট গুরুর কে 
কিছুক্ষন থেকে ছিলাম তার চরন তলে । 

একটু খানি দাড়িয়ে পড়েছিলাম তাঁর সেই কবিতা , 
যে কবিতাটি তিনি লিখে ছিলেন 
বেদনায় ভরা অশ্রুর স্রোতে, 
নিজের শৈশব কে স্মরণ করে। 

সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে। 
সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে ; 
সতত ( যেমতি লোক নিশার স্বপনে 
শোনে মায়া-যন্ত্রধ্বনি ) তব কলকলে 
......... 

চারদিকে কোলাহল শুন্য 
মনে হল আমার যাত্রাটা এবার হয়েছে পূর্ণ , 
কিছুক্ষন থেকেই কবির চরণ তলে। 

ভ্রমণ শেষে ফিরে এলাম সেই নদীর দাড়ে 
ঠিক তেমনি ভেবে ছিলাম , 
কবি যেমনি লিখেছিল এই নদটি কে স্মরণ করে। 

কপোতাক্ষ তুমি বসে আছো আসন পেতে 
পূর্ণ করেছ আমারি হৃদয় বক্ষ । 
বিদয়ের বেলা চলে এসেছে 
তোমারি মাঝে ভিজিয়ে নিলাম আমারি দুটি হাত 
হয়ে গেলাম আমি কবির মত তোমারি ভক্ত ।
আর্তনাদ
- মোঃ খোরশেদ আলম
চৈত্রের ভরা দুপুর চারদিকে ফেটে চৌচির, 
মাটিরি বুকে আত্ন খরা । 
যে দিকে তাকাই হাহা কারের শব্দ পাই , 
আমারি নয়ন জলে ভরা। 

গাছে গাছে পাখি করে ডাকা ডাকি 
একটু আহারের লাগি , 
মাটিরি রুপ দেখে কিষাণের বুক যায় ফেটে 
ঘরের খাবার পুরাতে আর কয়টা দিন বাকি । 

ঘরে ঘরে আহাজারি কোথায় যাবে বাড়ি ঘর ছারি 
ছোট যে চলার পথ । 
সবারি নয়ন জলে ভরা 
চৈত্রের দিনে দেখেনি এমন খরা , 
বিধাতার কাছে হাত উঠিয়ে বাণী  । 

শোন হে প্রভু আর কত ধরিবো ধৈর্যয়, 
কে দেখিবে বলো মোদের ? 
আমরা যে তোমারি প্রার্থনা করি 
তোমারি দেয়া অন্নের জন্য করি সবুর ।

বাংলাদেশ
- মোঃ খোরশেদ আলম
চির সবুজের একটি দেশ 
আমাদের এই বাংলাদেশ, 
রুপের মাঝে অপরুপা 
গুনের নাইকো শেষ। 

কাজল  দিঘির মায়া ভরা 
শান্ত নিবির ছায়ায় ঘেরা 
রুপের নাইকো শেষ , 
আমাদের এই বাংলাদেশ। 

শ্যামল মাটির কোমল পরশে 
কোমল বাতাসের মেলায় , 
ঘাস ফড়িং এর বাহাদুরি 
চলে বিকেল বেলায়। 

ডালে ডালে পাখির নাচন 
মাঝির কন্ঠে গান, 
বাংলার এমন রুপ যে আমার 
কেড়ে নিল এই প্রাণ । 

তুমি আসবে বলে
- মোঃ খোরশেদ আলম
তুমি আসবে বলে, 
উঠেছিল সকালের ভেজা রোদ্র 
তুমি আসবে বলে 
কিষাণ দেখেছিল ফসলের মাঠে সমুদ্র । 

তুমি আসবে বলে, 
জীবনানন্দ লিখেছিল মাহা কাব্য 
তুমি আসবে বলে 
লেখক লিখেছিল বাংলা লেখায় গদ্য। 

তুমি আসবে বলে, 
দল বেধে চলেছিল কতনা মায়ের শিশু 
তুমি আসবে বলে 
ছোট্ট ছেলেটি কেঁদেছিল মায়ের পিছু । 

তুমি আসবে বলে, 
আবার সেজেছিল নতুনের সাজে মিনার 
তুমি আসবে বলে 
প্রবাসী দিয়েছিল তার জমানো দিনার । 

তুমি আসবে বলে, 
মায়ের মুখে আবার এসেছে হাসি 
তুমি আসবে বলে 
রাখালি রেখেছে তার বানানো বাঁশি । 

তুমি আসবে বলে, 
স্কুল গুলোতে চলেছে খেলার কলা 
তুমি আসবে বলে 
বিশ্ববিদ্যালয় করেছে আয়োজন পালা। 
তুমি আসবে বলে, তুমি আসবে বলে , 
তুমি আসবে বলে।

বাংলার প্রাণে
- মোঃ খোরশেদ আলম
কত সুন্দর তুমি  কত সুন্দর , 
তোমার মাঝে নাইকো কোন, 
আগের মত কোলাহল । 

সকালের সূর্য দেখাও তুমি, 
মনের মতো করে , 
দেখতে দেখতে সকালের সূর্য 
মনটা যায় যে ভরে । 

পায়ের নিচে নরম ঘাস 
কতনা ভারি কোমল , 
ভাবতে ভাবতে কেটে যায় আমার, 
সকালের সে প্রহর । 

রৌদ্রের দেওয়া আলোকিত মাঠ , 
সবুজের সমারোহ , 
পাশের বাড়ির বুড়োটা এসে, 
শুকায় তাহার দেহ । 

এত কিছুর মাঝে তুমি, 
কতনা সুন্দর , 
বলোনা তুমি বলোনা , 
কি দিয়ে করি তোমার কদর । 

হাসি খুসি মাখা দিনের শেষে , 
রাতের আঁধার এসে 
এত সুন্দর ফসলের মাঠ , 
দেয় অন্ধকারে ঢেকে । 

এভাবেই চলে তোমার  আসা যাওয়া 
মিলিয়ে আলো আর অন্ধকারের দেশে , 
ফিরে আসো আবার নতুন করে 
নতুন রুপের বেশে ।

আমাকে একটু খাইতে দাও
- মোঃ খোরশেদ আলম
ও রে ও ধনী 
তোর দিকে তাকিয়ে আছে কত মা জননী। 
ও রে ও পিপাসু 
তুই একটু তাকিয়ে দেখ না, 
রাস্তায় কত আনাথ শিশু। 

ও রে, একটু দেনা খেতে 
চেয়ে দেখ আছে কি ওদের পেটে । 
তোদের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে, 
তারাই তো মুখ চাটে । 

ও রে, ও ধনীর জননী 
তোরাইতো পারিস দিতে, 
ফেলিয়ে দেওয়া টাকে । 
তোদের তো অনেক আছে, 
শুধু একটা দেনা ? 
আসবে কিরে তাতে । 

ওরে ও পাষাণ হ্নদয় 
দেখনা ওদের কাঁদে হ্নদয় , 
তোদের আসে পাশে । 
একটু যদি দিবিরে তুই , 
ক্ষতি কিসে আসে। 

ওরে কি হবে আর লোক দেখিয়ে 
না দেখিলে মান কি যাবে মিডিয়ারি পাশে । 
দিবি যদি দিয়ে দেনা 
বলার কিসে আসে । 

দিলে দেখবি পাবি তাদের, 
সব সময়ে পাশে । 
তোদের জন্যই ওরাতো হায়, 
এ জগতে আসে । 

তোরা কেন থাকবি না বল 
ওদেরি পাশে ? 
পারিস যদি থাকনা পাশে, 
এই দুনিয়া হল মিছে 
যায় চলে আবার আসে । 

দেখবি একদিন ওরাই রবে 
অসময়ে পাশে । 
তখন দেখবি তোদের হয়ে , 
বলার অনেক আছে।

আদরের ছেলে খোকা
- মোঃ খোরশেদ আলম
আমার আদরের ছেলে খোকা, 
ওকে দেখে আমার অতীত কে ভুলে থাকি, 
ওকে দেখে আমি নতুন কিছু দেখি । 

ওর বাবা গেল সেই ভাষা আন্দলনে 
আর ফিরে আসলো না , 
অনেক খুঁজে ছিলাম, ঢাকার অলি গলিতে , 
পাওয়া গেলনা । 

অবশেষে তাকালাম তার আর আমার স্মৃতির দিকে 
আমার ছেলে খোকা। 
আমার স্বামীর আশা , 
খোকা কে নিয়ে আমার সামীর অনেক আশা। 

আমাদের খোকা একদিন বড় হবে, 
সবাই তাকে মানবে, 
তাকে নিয়ে লিখবে অনেক কবিতা , 
অনেক গল্প আর গান, 
যা দেখে জুরাবে আমাদের প্রান। 

কেন জানি খোকা আজ 
আমার সাথে করলো রাগ , 
খোকার সে হাসি আর কেন দেখিনা  ? 
আমার খোকা তো যুদ্ধে গেল 
আসবে আবার ফিরে , 
তবে কেন আসছেনা ? 

তার জন্যে বসে আছি আমি 
এটা সেটা আরো কত কিছু নিয়ে দামী দামী। 
সাজিয়ে রেখেছি ,কখন যেন খোকা এসে বলে 
আমি ক্ষুধার্ত খেতে দাও আমায় । 

অনেক দিন হয়ে গেল , 
আমার খোকা আজো ফিরে আসছেনা কেন? 
কত মায়ের সন্তান বাড়ি ফিরলো 
তবে আমার খোকন কোথায় গেল ? 

পাগলের মত বাজছে কান্নার বাঁশি 
থেমে গেছে পাগল মায়ের হাসি । 
আদরের খোকা গেল বুঝি, 
ওর বাবার মত বানের জলে ভাসি ।

৭১ রে আমি
- মোঃ খোরশেদ আলম
আমার এ মাটি দিশনে তোরা ফেলে , 
আমার এ মাটি মাখিয়াছি তাজা জলে । 
আমার এ জল মিশেনা অন্য জলে , 
আমার এ জল মাঝে মাঝে কি যে বলে । 

আমাকে তোরা যতই বলিস যেতে , 
এই মাটি আমার মিশে আছে নিঃশ্বাসে । 

যতই তোরা চালাবি গুলি 
আমার মুখে থাকবে বুলি , 
বাংলা মিশে আছে গাঁ তে, 
আমি যে বাংলার সূর্য দেখেছি প্রভাতে । 

আঘাতে,আঘাতে মারবি যদি আমায় মার! 
তবুও বলি বাংলা আমার বুলি 
কেরে নিবি কে, সাহস আছে কার ? 

আমিতো বাংলার, 
বাংলা আমার বুলি আসবে বারেবার । 
আমি তো বাঙ্গালি , 
বাংলা আমার গালি মুখে শুনবি বারেবার, 
তোদের মুখে মানাবেনা গালি , 
তোরাতো রাজাকার।
প্রেমের তরি
- মোঃ খোরশেদ আলম
সাজিয়েছি প্রেমের তরি প্রেম যমুনায় দেবো পাড়ি 
মাঝি কোথায় পায় , 
অবশেষে মাঝি সেজে হলো আমার থাই ।
বসে আছি সাজিয়ে তরি , কখন কাকে পাই 
আসলে তরি ছাড়বো জলে উজান স্রোত বাই ।

স্রোতে স্রোতে বলবে কথা ঢেউয়ের কিনারায় 
জয় করিবে জলধারা প্রেম যমুনা বাই । 
যে প্রেমে মুগ্ধ ছিল হাজারো সৃষ্টি জাতি 
প্রেমের তরি বাইতে বাইতে জ্বেলেছিল জীবন বাতি , 
আমি যে প্রেম যমুনার মাঝি প্রেমই আমার সাথী , 
প্রেমের স্রোত উঠতে মনে আর কিছু সময় বাকি ।

কে আছো তোমারা কে আছো 
আমার সাথে যাবে নাকি ? 
প্রেমের তরি বাইতে বাইতে কাটাবো সময়, আছে যা বাকি । 
প্রেম যমুনায় অনেক মজা থাকে জীবন সাথী, 
একই সাথে কথা বলে দুই যমুনার আঁখি 
যাবে নাকি ভাই যাবে নাকি, আছে কিছু সময় বাকি। 

আসবে যদি বলো ভাই ! 
তোমার জন্য প্রেম যমুনায় একটু জায়গা করে রাখি , 
আসলে আমায় ডাক দিয়ো বলে কোথায় গেলে মাঝি ? 
দেখে তোমায় তখন বলবো যাইতে আমি রাজি । 
তবে শোন প্রেম যমুনার উজান স্রোতে ধরতে পারবে বাজি ? 
তোমার সাথে থাকবে আরো ধরতে তারা রাজি , 
তবে জলদি আসো জলদি, প্রেম যমুনা ছাড়বো আজি । 
আমি যে প্রেমিক নয় প্রেম যমুনার মাঝি ।

গণ মিছিল
- মোঃ খোরশেদ আলম
কাঁপছে রাজপথ কাঁপছে 
মাঝে মাঝে কিসের যেন শব্দ ভাসছে 
চলছে ভাংচুর আসছে কান্নার আওয়াজ 
আমার কষ্টের দোকান
ছেলে মেয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে 
ভেঙ্গোনা দোকানের কাঁচ । 

তাতে কি শুনছে !
যে যার মত শ্লোগান ধরছে 
কাঁপছে রাজ পথ কাঁপছে 
গণ মিছিল এগিয়ে আসছে ।

রাস্তায় ছুটো ছুটি 
নিয়ে যাচ্ছে লুটিপুটি 
যে যারটা পাচ্ছে , 
কাঁপছে রাজ পথ কাঁপছে 
গন মিছিল এগিয়ে আসছে ।

চলছে হুংকার 
বিচার নিবে কে কাহার 
গন লিস্ট হচ্ছে, 
কাঁপছে রাজ পথ কাঁপছে 
গণ মিছিল এগিয়ে আসছে ।

স্বদেশ ভূমি
- মোঃ খোরশেদ আলম
বসুমতি তুমি কত সুন্দর 
বলো তুমি বলো কি দিয়ে করি তোমার কদর ? 
বারে বারে আসি ফিরে দেখতে তোমার ঐ রুপ, 
তোমাকে দেখে মিটিয়ে নেই তৃষ্ণা 
দূর দেশে লেগেছিলো যে খুব ।

গুরে ফিরে চলি সারা বেলা 
এপথ থেকে ও পথে চলি 
কেটে যায় দিন, আসেনা কো ক্লান্তি 
তবুও হাঁটতে চায় কিছু বেলা , 
মিটে না মনের তৃষ্ণা 
মনের সাথে একা একা বসে করি খেলা । 

কখনো দেখিনি দূর দেশে বসে 
রাতের আকাশে তুমি কত সুন্দর , 
তোমারি বুকে জ্বলে মিটিমিটি আলো 
আঁধারে দিয়ে যাও প্রহর । 
জোনাকি পোকার নিভু নিভু আলো 
নিয়ে যায় সঙ্গী করে ,
এ পথ ভুলে চলে যাই অন্য পথ ধরে । 

চারদিকে শন শন শব্দ ডেকে যায় ভয়ের ঘোর, 
হৃদয় কাঁপে থর থর করে, নিয়ে যাবে বুঝি এই বার। 
দাদা-দাদি কাছে শুনেছি হায়েনারা থাকে শিকারের খোঁজে , 
বসে থাকে পেতে ফাঁদ । 

যখনি ফিরে আসি নিজের ঘরে ভুলে যাই সব ভয় , 
সবারি মাঝে সাহসী আমি হতে চাই নির্বাক । 
এভাবে কেটে যায় রাতের প্রহর, আসে ফিরে দিনের আলো, 
আমের পাতা মুখে নিয়ে চলে যাই মাজতে মাজতে দাঁত ,
সেই নদীর পাড়ে, শৈশবে কেটেছে কত সময়। 

খেলেছি কত খেলা, 
সাঁতার কেটে চলে যেতাম নদীর এপাড় থেকে ও পাড় । 
যমুনার লোনা মিশে আছে গাঁয়ে 
যাবেনা ধুইলে যত জনম ঢালি চন্দনের জল । 

এমন স্বদেশ ভূমি কি করে ফেলে আসি , 
সেই তো ছিলো আমার মুক্ত চিন্তার সম্বল ।
এসেছি চলে তাই মাতৃভূমির টানে ভাই , 
হৃদয়ের তৃষ্ণা মেটাবো এবার 
ঘুরে ফিরে চলে আগের মতন , 
বাঁধা দেওয়ার কেহো নাই 
আমি যে এই গাঁয়ের ছেলে, এই গাঁয়ে আমার থাই ।

আমার দেশ
- মোঃ খোরশেদ আলম
আমার দেশ আমার মাটি, 
আমার সোনার বাংলা সব চাইতেও খাঁটি, 
পাবে না খুঁজে পাবেনা এমন বাংলা , 
সবুজের সমারোহ গাছে গাছে পাখির ডাকা ডাকি । 

আমার দেশ আমার মাটি 
আমার সোনার বাংলায় দেখি ফসলের মাঠ 
সমুদ্রের ঢেউ খাচ্ছে সোনালী ধানে 
কৃষাণের মুখে সুখের হাসি । 

আমার দেশ আমার মাটি, 
আমার সোনার বাংলার গৃহ বধূ 
যাচ্ছে কলসি কাকে 
আলতোর রঙে পা দুখনি মাখি । 

আমার দেশ আমার মাটি 
আমার সোনার বাংলায় শুনি কোকিলের গান 
মাঝে মাঝে ভেসে আসে কোথা থেকে 
মা মা ডাকাডাকি ।

বলো এমন দেশ ফেলে 
আমি কি কোথাও থাকতে পারি ? 
যতই দূরে থাকি স্মরণে রাখি , 
মনে পড়লে ছুটে আসি কাজকে দিয়ে ফাঁকি ।

রক্তে ঝরা মার্চ
- মোঃ খোরশেদ আলম
রক্ত ঝরছে রক্ত 
পথে ঘাটে ঝরছে শুধু রক্ত 
তবুও মোরা হয়ে আছি শক্ত , 
যতই ঝরুক করি নাকো ভয় 
রক্ত পরতে পরতে হয়েছে মোদের জয় । 

আছে কি মনে সবার ঝরেছে কত রক্ত ? 
দালালের বন্দিশালায় হারিয়েছে কত মায়ের মান , 
ছিনিয়ে নিয়ে ছিল সম্মান । 
তবুও হারেনি বাংলা মা, হারেনি মায়ের সন্তান । 

রক্ত ঝরতে ঝরতে হয়েছে ইতিহাস, 
রক্তের কালিতে লেখা হয়েছিল বাংলা 
পথে পথে পড়েছিল কত লাশ, 
বলো আরো কি লাগবে রক্ত? 

রক্ত দিবো আর কত দিন, আর কত মাস 
দিবো আর কত বছরের পর বছর ? 
যদি চাও বলে দাও, করোনাকো লাজ, 
এই মাস যে আমাদের রক্তে ঝরা মার্চ ।
জাগরণের কন্ঠ

- মোঃ খোরশেদ আলম
জাগরণের কন্ঠ 

জেগে ওঠো তোমরা , 
সময় এসেছে আজ জাগতে হবে তোমাদের। 
তোমারা দিতে পারো শক্তি তোমারাই নিয়ে আসো মুক্তি, 
ভেঙ্গে শোষণের শিকল । 

খুলে দাও আজ খুলে দাও,
মূখের তালা, যারা করেছে তোমাদের শোষণ , 
বানিয়েছে ভোগের পন্য, 
আজ খুঁজে নাও তাদের করে তন্ন তন্ন । 

কোমল কন্ঠে তোমারা যে নারী 
শক্ত হাতে তোমরাই প্রতিবাদী । 
তবে দেরি কেনো ! 
জানিয়ে দাও আজ বিশ্ব মাতাকে !! 
তোমাদেরো আছে মুক্তি, 
আছে স্বাধীনতার অধিকার । 

তোমাদের কন্ঠে সুর তুলে কর পারাপার 
যারা পড়ে আছে এখনো বাঁধার শৃঙ্খলে
মরছে ধুঁকে ধুঁকে পুড়ছে বন্দিশালায় , 
হৃদয়ের জ্বালানো দাবানলে । 

যারা এখনো হয়ে আছে অসহায় , 
তুলে নাও তাদের তোমাদের সাথে, 
মুক্তির পথে থাকবে কেনো অন্যায় । 
মুক্তির কন্ঠ তোমাদের হাতে, 
সকলের শক্তিতে হবে পারাপার।
তবে তুলে নাও হাতে বাতি 
জ্বেলে দাও জীবনের প্রদীপ নতুন করে আবার ।
একটি কবিতা লিখবো বলে
- মোঃ খোরশেদ আলম
একটি কবিতা লিখবো বলে আমি ছুটে যাই বহু দূর ,
শুধু একটি কবিতা লিখবো বলে,
মাঝে মাঝে হই ফকির আবার বাহাদুর ।

একটি কবিতা লিখবো বলে শুনি পাখির কন্ঠে গান ,
শুধু একটি কবিতা লিখবো বলে,
মাঝে মাঝে আমি নিরব মনে বসে থাকি ভরা দুপুর ।

একটি কবিতা লিখবো বলে করি কত পাগলামি ,
শুধু একটি কবিতা লিখবো বলে,
মাঝে মাঝে আমি থাকিনা আমার মাঝে আমি ।

একটি কবিতা লিখবো বলে সরিয়ে ফেলি মনের পর্দা ,
শুধু একটি কবিতা লিখবো বলে ,
মাঝে মাঝে থাকেনা চোখের লজ্জা ।

একটি কবিতা লিখবো বলে হৃদয় করি পাষাণ ,
শুধু একটি কবিতা লিখবো বলে,
মাঝে মাঝে মনের অজান্তে সব কিছুকে করে ফেলি সশান ।

একটি কবিতা আমারি সব কিছু ,
শুধু একটি কবিতা আমাকে নিয়ে যায় ভরা যৌবনে ,
আবার থামিয়ে দিতে পারে শুন্যের পিছু ।
এই বাংলা মোদের
- মোঃ খোরশেদ আলম
কেড়ে নিবি কে , সাহস আছে কার ? 
আয় সামনে আয় ! এই বাংলা মোদের। 

তোদের কথা সোয্য করেছি অনেক 
আর নয়, ওরে আর নয়! 
দিন এসেছে রুখে দাড়াবার । 
এবার তোদের মেরে বানাবো মোরা 
শেয়াল-কুকুরের খাবার । 

করেছিস কত ,বল আর কত করবি 
সামনে আয় সালা ! সামনে আয় , 
মরবি এবার মরবি । 
আমরা এবার দাড়িয়েছি রুখে, 
বল তোরা কি করবি ? 

বায়ান্নতে মেরেছিস আমাদের কত ভাইকে 
একাত্তরে করেছিস লাঞ্চিত কত মাকে 
তাঁদেরি রক্ত টগবগিয়ে ডাকে 
প্রতিশোধ নে বাবা প্রতিশোধ নে ।
যারা তোদের মাকে লাঞ্ছিত করেছে 
তাঁদের রক্ত তোরা চুষে নে । 

বুঝিয়ে দে তোরা আমারি সন্তান 
মায়ের জন্য কাঁদে তোদের প্রাণ 
আজ বুঝিয়ে দে ।








































No comments:

Post a Comment